
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় শহীদ হওয়া বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ৩০ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরুর নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
বুধবার (৬ আগস্ট) বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারক মো. মঞ্জুরুল বাছিদ ও বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
এই মামলায় গত ৩০ জুন আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র দাখিল করে প্রসিকিউশন। একই দিন ৩০ আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল।
এরপর ৩০ জুলাই পলাতক ২৪ আসামির পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীরা মামলায় অব্যাহতির আবেদন করে শুনানি করেন। গ্রেপ্তার ছয়জনের পক্ষেও পৃথকভাবে ২৯ জুলাই অব্যাহতির শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
গত বছরের ১৬ জুলাই, রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। সেই ঘটনার পর মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত শুরু করে ট্রাইব্যুনালের অনুসন্ধান সংস্থা।
এই মামলায় ৩০ জন আসামির মধ্যে ৬ জন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। বাকি ২৪ জন পলাতক। পলাতক আসামিদের স্বার্থ রক্ষায় ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রপক্ষে চারজন স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছেন। তারা হলেন- আইনজীবী সুজাত মিয়া, ইসরাত জাহান, শহীদুল ইসলাম ও মামুন উর রশীদ।
এখন মামলাটির প্রাথমিক শুনানি শেষ করে পূর্ণাঙ্গ বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে। মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড হতে পারে বলে আইনি বিশ্লেষকদের অভিমত।


























