রবিবার । ডিসেম্বর ৭, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক আদালত ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৮:১২ অপরাহ্ন
শেয়ার

শেখ হাসিনাসহ ৩২ জনের বিচার চেয়ে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করলেন সুখরঞ্জন বালি


Sukhranjon-Boly
গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাবেক প্রধান বিচারপতি, আইনমন্ত্রী, ট্রাইব্যুনালের সাবেক চেয়ারম্যান-সদস্য ও প্রসিকিউটরসহ মোট ৩২ জনের বিচার চেয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন পিরোজপুরের সুখরঞ্জন বালি। তিনি জামায়াতে ইসলামীর প্রয়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার অন্যতম আলোচিত সাক্ষী।

বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে অভিযোগপত্র জমা দেন তিনি। এরপর প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম সাংবাদিকদের জানান, অভিযোগে সুখরঞ্জন বালি বলেছেন, তাকে অপহরণ করে আটকে রাখা হয়েছিল, শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছিল এবং অবৈধভাবে পাঁচ বছর ভারতের কারাগারে আটক রাখা হয়েছিল।

সুখরঞ্জন বালি যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম, ট্রাইব্যুনালের সাবেক সদস্য বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবির, সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক এমপি এ কে এম আউয়াল, সাবেক চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, সাবেক প্রসিকিউটর রানা দাসগুপ্ত, তদন্ত সংস্থার সাবেক প্রধান মো. সানাউল হক ও তদন্তকারী কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন।

সুখরঞ্জন বালির আইনজীবী পাভেজ হোসেন জানান, ২০১২ সালে সাঈদীর মামলার সময় তাকে জোরপূর্বক সাক্ষ্য দিতে চাপ দেওয়া হয়। তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন তাকে তার ভাই বিশাবালীর হত্যাকাণ্ডের জন্য সাঈদীকে দায়ী করতে বলেন। কিন্তু তিনি জানান, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সেনারাই তার ভাইকে হত্যা করে, সাঈদী সে ঘটনায় কোনোভাবেই জড়িত ছিলেন না।

তিনি বলেন, মিথ্যা সাক্ষ্যে অস্বীকৃতি জানালে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয় এবং হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। পরে তিনি আত্মগোপনে চলে যান।

সুখরঞ্জন অভিযোগ করেন, ২০১২ সালের নভেম্বরে তিনি ঢাকায় আইনজীবীর সঙ্গে ট্রাইব্যুনালে যেতে গেলে সাদা পোশাকের পুলিশ তাকে গাড়ি থেকে তুলে নেয়। এরপর একটি অজ্ঞাত স্থানে তিন মাস আটক রেখে ভারতের সীমান্তে হস্তান্তর করা হয়। পরে পশ্চিমবঙ্গের বশিরহাট কারাগারে পাঁচ বছর কাটাতে হয় তাকে।

দীর্ঘ কারাজীবন শেষে তিনি মুক্তি পান এবং দেশে ফিরে এসে এই অভিযোগ আনেন। তিনি দাবি করেছেন, গুম ও নির্যাতনের মাধ্যমে তাকে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করার চেষ্টা হয়েছিল।