রবিবার । ডিসেম্বর ৭, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক দেশজুড়ে ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ৯:০২ অপরাহ্ন
শেয়ার

রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকার ১১ পশ্চিমা দেশের


Rohinga
মায়ানমারের দমন-পীড়ন থেকে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা এখনও নিজেদের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে। এই সংকটে বাংলাদেশের পাশে থেকে সমাধান খুঁজে বের করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাজ্যসহ ১১টি পশ্চিমা দেশ।

সোমবার (২৫ আগস্ট) সকালে ঢাকায় ফ্রান্স দূতাবাসের এক্স হ্যান্ডেল ও ফেসবুক পেজে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার আট বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে এই অঙ্গীকার জানানো হয়।

যৌথ বিবৃতিতে যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, কানাডা, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, ডেনমার্ক, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড ও ফিনল্যান্ডের নাম উল্লেখ করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, “আট বছর পেরিয়ে গেছে মায়ানমারের সামরিক বাহিনীর সেই নৃশংস অভিযানের, যার ফলে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা বাস্তুচ্যুত হয়। বর্তমানে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছে এবং এখনো নতুন শরণার্থী প্রবেশ করছে।”

দেশগুলো রোহিঙ্গাদের দীর্ঘদিনের সহনশীলতার প্রশংসা জানায় এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ও সাধারণ মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, যারা শরণার্থীদের আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।

রোহিঙ্গাদের নিজ বাড়িতে ফেরার ইচ্ছার কথা উল্লেখ করে বলা হয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের পথ খুঁজতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে মায়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি এ শর্ত পূরণে অনুকূল নয়। এজন্য মূল কারণগুলো সমাধান করে একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল মায়ানমার গড়ে তোলা জরুরি।

বিবৃতিতে মায়ানমারের সেনাবাহিনী ও অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানানো হয়। একই সঙ্গে সহিংসতা বন্ধ, মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ নিশ্চিত করা এবং অন্যায়ভাবে আটক ব্যক্তিদের মুক্তির আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জবাবদিহি নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

বিবৃতিতে কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণের সহযোগিতার প্রশংসা করা হয় এবং রোহিঙ্গাদের আত্মনির্ভরশীলতা বাড়াতে, ভবিষ্যৎ প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতি নিতে আন্তর্জাতিক সহায়তা অব্যাহত রাখার কথা জানানো হয়।

যৌথ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রোহিঙ্গাদের অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিনিধিত্ব ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে, যাতে তারা বাংলাদেশে অবস্থানকালে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন করতে পারে। আট বছর পরও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশের পাশে আছে।