
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনকে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’ শিরোনামের এ অনুষ্ঠানে কালজয়ী সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের হাতে সম্মাননা তুলে দেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন দেশবরেণ্য সংগীতশিল্পী, নবীন সংগীতশিল্পী, সংগীত পরিচালক ও সংগীত অনুরাগীরা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন খ্যাতিমান অভিনেতা ও নির্মাতা আফজাল হোসেন।
অনুষ্ঠানে কালজয়ী শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের জীবন ও কর্মজীবনকে ট্রিবিউট দিয়েছে শিল্পকলা একাডেমি। মুখরিত এ আয়োজনে শ্রোতাদের বিখ্যাত সব গান গেয়ে শোনান সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি বিভিন্ন গানের পেছনের গল্প শ্রোতাদের সামনে তুলে ধরেন। গানে-গল্পে-আড্ডায় মেতে ওঠেন শ্রোতারা। এক অনবদ্য সন্ধ্যার সাক্ষী হয় সংগীতপ্রেমীরা।
গানের ফাঁকে বিভিন্ন প্রজন্মের শিল্পীরা সাবিনা ইয়াসমিনকে নিয়ে স্মৃতিকথা ও শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। শিল্পীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নকীব খান, খুরশিদ আলমসহ বিভিন্ন শিল্পীরা তাদের বক্তব্যে দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে উদযাপন করার এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুরোধ করেন।
সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সারওয়ার ফারুকী বলেন, এ ধরনের আয়োজন ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকবে। গান আমাদের বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক সম্পদ। বাংলাদেশের গান নিয়ে আরও আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। আগামীতে ধারাবাহিকভাবে আয়োজনগুলো চলতে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ‘যখন কোনো জাতি অন্যের ওপর প্রাধান্য বিস্তার করতে চায়, তখন তারা প্রথমে দুইটি কাজ করে, বলে, তোমার কোনো ইতিহাস নেই এবং তোমার নিজস্ব সংস্কৃতি নেই। এটি অধিকারহরণের মূল পদক্ষেপ। যে জাতি তার সংস্কৃতিকে অস্বীকার করে, সে অন্যান্য আধিপত্যবাদী সংস্কৃতির কাছে দুর্বল হয়ে পড়ে।’
‘জুলাই বিপ্লবের পর নতুন বাংলাদেশে আমরা এই দুই ক্ষেত্রকে গুরুত্ব দিতে চাই এবং আমরা আমাদের সংস্কৃতির ওপর কাজ করছি। এর মানে হলো আমরা আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য উদযাপন করতে চাই,’ বলেন তিনি।


























