ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে ভয়াবহ বন্যায় হাজারো মানুষ নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। অমৃতসর, পাতিয়ালা, ফাজিলকা, ফিরোজপুরসহ বিভিন্ন জেলায় গ্রামভিটা হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছে অসংখ্য পরিবার। এমন দুর্দিনে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান।
তাঁর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘মীর ফাউন্ডেশন’-এর উদ্যোগে শাহরুখ ঘোষণা দিয়েছেন, অন্তত ১,৫০০ পরিবারের দায়িত্ব নেবেন তিনি। ইতিমধ্যেই স্থানীয় এনজিওগুলোর সহযোগিতায় দুর্গতদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে খাদ্যসামগ্রী, ওষুধ, মশারি, বিছানা, গদি, পোশাক ও ত্রিপলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য। শাহরুখ শুধু ত্রাণ নয়, পরিবারগুলোর পুনর্বাসন ও স্বাভাবিক জীবনে ফেরানোর লক্ষ্যও স্থির করেছেন। এর আগে অমৃতসরের ৫০০ পরিবারকে পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শাহরুখ লিখেছেন, পাঞ্জাবের এমন দৃশ্য দেখে আমার মন ভেঙে গিয়েছে। আমি চাই, পাঞ্জাবের মনোবল যেন কখনো না ভাঙে। তাঁর এই পোস্ট মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। ভক্তরা তাঁকে ‘রিয়েল হিরো’ ও ‘ট্রু কিং’ বলে প্রশংসায় ভাসান।
শুধু শাহরুখ নন, পাঞ্জাবের এই বিপর্যয়ে আরও অনেক বলিউড তারকাও এগিয়ে এসেছেন। অক্ষয় কুমার মোটা অঙ্কের অর্থ সহায়তা দিয়েছেন। সালমান খানের ‘বিইং হিউম্যান’ ফাউন্ডেশন খাদ্য ও চিকিৎসাসামগ্রী পাঠিয়েছে। সোনু সুদ সরাসরি গ্রামে পৌঁছে সহযোগিতা করছেন। রণদীপ হুদা দুর্গত এলাকায় গিয়ে সহায়তা করেছেন, আর দিলজিৎ দোসাঞ্জ ১০টি গ্রামের মানুষের পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিয়েছেন।
চলচ্চিত্র বিশ্লেষকদের মতে, তারকাদের এ ধরনের উদ্যোগ শুধু তাৎক্ষণিক সহায়তা নয়, মানুষের মনে ভরসা জোগায়। বিশেষ করে যখন রাষ্ট্রীয় সহায়তা পৌঁছাতে দেরি হয়, তখন পরিচিত মুখগুলোর দ্রুত এগিয়ে আসা বাস্তব পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়।
শাহরুখ খানের মানবিক কাজগুলো নতুন কিছু নয়। করোনা মহামারির সময় হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন সরবরাহ, আইসিইউ বেড তৈরি থেকে শুরু করে হাজারো পরিবারকে খাদ্য ও ওষুধ দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। মীর ফাউন্ডেশন বরাবরই কাজ করছে অ্যাসিডদগ্ধ নারীদের পুনর্বাসন, ক্যানসার আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা ও পথশিশুদের সহায়তায়।
শাহরুখ ভক্তদের ভাষায়— শাহরুখ শুধু সিনেমার নায়ক নন, বাস্তব জীবনেও তিনি মানুষের প্রকৃত বন্ধু।



























