
ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২৫’। তবে এবারের আয়োজন নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। মাত্র চার দিনের ব্যবধানে কাস্টিং কল থেকে শুরু করে চূড়ান্ত পর্ব শেষ হওয়ায় প্রতিযোগিতার স্বচ্ছতা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ফ্যাশন অঙ্গনে সমালোচনা চলছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে তেজগাঁওয়ের আলোকি মিলনায়তনে আয়োজিত চূড়ান্ত রাউন্ডে বিজয়ীর মুকুট পরেন আলোচিত মডেল ও অভিনেত্রী তানজিয়া জামান মিথিলা। তিনি এর আগেও ২০২০ সালে একই খেতাব জিতেছিলেন। ফলে এক প্রতিযোগীর দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
আয়োজকরা অবশ্য নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশের পরিচালক মুস্তাফা রফিকুল ইসলাম বলেন, “মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। এবারের আয়োজন ছিল কাস্টিং কল ধরনের। লক্ষ্য, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশকে শক্তভাবে উপস্থাপন করা।”
তিনি আরও জানান, ৫০ জনের বেশি প্রতিযোগী আবেদন করেছিলেন। সেখান থেকে পাঁচজনকে বাছাই করা হয়, আর চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ী হন মিথিলা। বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী তমা মির্জা, জান্নাতুল পিয়া, মাহমুদুল হাসান মুকুল ও মুস্তাফা রফিকুল ইসলাম।
তবে সমালোচকদের মতে, এবারের আয়োজন ছিল ‘চুপিসারে শুরু, চুপিসারেই শেষ’। ফ্যাশন অঙ্গনের একজন অভিজ্ঞ মডেল মন্তব্য করেন, “এবারের প্রতিযোগিতা আনুষ্ঠানিকতা পূরণের মতো ছিল। বিজয়ীর নাম আগে থেকেই ঠিক করা ছিল বলে গুঞ্জন শোনা গেছে।”

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। একজন লিখেছেন, “একজন মানুষ কীভাবে দুবার বিজয়ী হতে পারে?” আরেকজনের মন্তব্য, “এটা প্রতিযোগিতা নয়, কাস্টিং কল।”
অভিযোগের জবাবে রফিকুল ইসলাম বলেন, “অনেক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বা হলিউড প্রজেক্টেও এভাবে কাস্টিং কল করা হয়। মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষই মিথিলার নাম প্রস্তাব করেছে। আমাদের কাছে তার লিখিত প্রমাণও আছে।”
আগামী নভেম্বরে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য ‘মিস ইউনিভার্স ইন্টারন্যাশনাল’-এর ৭৪তম আসরে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবেন মিথিলা। এর আগে তিনি ১০ দিনের প্রশিক্ষণ নিতে যাচ্ছেন বাটারফ্লাই এজেন্সিতে, যেখানে হাঁটা, গাউন, ন্যাশনাল কস্টিউম ও প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রস্তুতি নেবেন।
নিজের লক্ষ্য প্রসঙ্গে মিথিলা বলেন, “এবার শুধু মঞ্চে দাঁড়ানো নয়, মুকুট জিতেই দেশে ফিরতে চাই।”


























