
বলিভিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মধ্য-ডানপন্থী খ্রিস্টান ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিডিসি) প্রার্থী রদ্রিগো পাজ। এর মাধ্যমে দেশটিতে সমাজতান্ত্রিক দল ‘মুভমেন্ট ফর সোশ্যালিজম’ (এমএএস)-এর প্রায় ২০ বছরের শাসনের অবসান ঘটল।
রবিবারের রানঅফ বা দ্বিতীয় দফার ভোটের পর সোমবার দেশটির সর্বোচ্চ নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল (টিএসই) জানায়, ৯৭ শতাংশ ভোট গণনা শেষে রদ্রিগো পাজ পেয়েছেন ৫৪.৫ শতাংশ ভোট, যেখানে তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ও ডানপন্থী নেতা হোর্হে “তুতো” কিরোগা পেয়েছেন ৪৫.৪ শতাংশ ভোট।
যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনীতি বিষয়ে পড়াশোনা শেষে দেশে ফিরে রদ্রিগো পাজ বলিভিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় তারিহা শহরের কাউন্সিলর ও মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২০২০ সালে তিনি ওই অঞ্চলের সিনেটর নির্বাচিত হন।
পাজ তার নির্বাচনী প্রচারণায় ঘোষণা দেন ‘সবার জন্য পুঁজিবাদ’ নীতির। এতে তিনি কর ও শুল্ক হ্রাসের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার থেকে ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের প্রতিশ্রুতি দেন।
গত আগস্টে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক নির্বাচনে এমএএস দলের বড় ধরনের পরাজয়ের পর রবিবারের রানঅফ ভোট অনুষ্ঠিত হয়। সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস মেয়াদসীমা ও দলীয় জটিলতার কারণে প্রার্থী হতে পারেননি। আর বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুইস আরসে, যিনি মোরালেসের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়েছিলেন, পুনর্নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
বামপন্থী জোটের এই বিভক্তি ও দীর্ঘস্থায়ী অর্থনৈতিক সংকটের কারণে এমএএস-এর ক্ষমতায় ফেরা অসম্ভব ছিল বলেই বিশ্লেষকদের ধারণা।
তবে জাতীয় কংগ্রেসের বাইরে নতুন প্রেসিডেন্ট পাজকে এখনো মোকাবিলা করতে হবে প্রভাবশালী মোরালেসকে, যিনি বিশেষ করে বলিভিয়ার আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মধ্যে এখনো জনপ্রিয়।
রবিবার ভোটের ফল ঘোষণার পর লা পাজে রদ্রিগো পাজের সমর্থকেরা আনন্দে উল্লাসে মেতে ওঠেন।
বলিভিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুইস আরসে ২০২০ সালে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং এক মেয়াদ শেষ করে আগামী ৮ নভেম্বর পদত্যাগ করবেন। সংবিধান অনুযায়ী তিনি আরও এক মেয়াদে প্রার্থী হতে পারতেন, তবে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নেন।




























