রবিবার । ডিসেম্বর ৭, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক বিজনেস ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৯:৪৫ পূর্বাহ্ন
শেয়ার

বিনিয়োগ বাড়াতে দক্ষিণ কোরিয়ায় গেল আশিক চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল


Ashik Chowdhury

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের সরকারি প্রতিনিধিদল পাঁচ দিনের সফরে দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছেছে। সফরের উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ তুলে ধরা এবং কোরিয়ান বিনিয়োগ আকর্ষণ ও প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা জোরদার করা।

বিডার জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার মণ্ডল জানান, প্রতিনিধি দল ২০ থেকে ২৪ অক্টোবর কোরিয়ায় থাকবেন। দলে বিডার পাশাপাশি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেপজা) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা আছেন। সফরটি বিশ্বব্যাংক গ্রুপের ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি)-এর কারিগরি সহযোগিতায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।

প্রতিনিধিদল ২১ থেকে ২৩ অক্টোবর একাধিক সরকারি-বেসরকারি বৈঠকে অংশ নেবে। এসব বৈঠকে দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, জাহাজ নির্মাণ, বিদ্যুৎ উৎপাদন, বস্ত্রশিল্প, রসায়ন ও ভারী নির্মাণ খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাবনা আলোচনা করা হবে।

বিডা জানিয়েছে, প্রতিনিধি দল দক্ষিণ কোরিয়ার বাণিজ্য, শিল্প ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের (এমওটিআইএ) উপমন্ত্রীর সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করবেন এবং একাধিক সরকারি-সরকারি আলোচনায় অংশ নেবেন। বৈঠকে দুই দেশের অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব, প্রস্তাবিত কোরিয়া–বাংলাদেশ সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সিইপিএ) এবং সাম্প্রতিক বাণিজ্য নীতি নিয়ে আলোচনা হবে।

সফরের প্রধান আয়োজন হলো ‘গেটওয়ে টু গ্রোথ: ইনভেস্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক বিনিয়োগ সেমিনার, যা ২১ অক্টোবর সিউলে অনুষ্ঠিত হবে। সেমিনার যৌথভাবে আয়োজন করছে বিডা ও সিউলে বাংলাদেশ দূতাবাস, সহযোগিতা করছে ফেডারেশন অব কোরিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ (এফকেআই)। এতে বাংলাদেশের বিনিয়োগ সুযোগ তুলে ধরা হবে এবং সফল কোরিয়ান বিনিয়োগকারীরা তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন।

বিডার ব্যবসা উন্নয়ন বিভাগের প্রধান নাহিয়ান রহমান রোচি বলেন, “দক্ষিণ কোরিয়া আমাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদার। এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশকে কোরিয়ান বিনিয়োগকারীদের কাছে কৌশলগত উৎপাদন ও রপ্তানিকেন্দ্র হিসেবে তুলে ধরতে চাই। লক্ষ্য নতুন উচ্চপ্রযুক্তি শিল্পে বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং এমওটিআইএ-এর সঙ্গে নীতিগত সংলাপের মাধ্যমে বাজারে প্রবেশাধিকার বাড়ানো।”