রবিবার । ডিসেম্বর ৭, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক রাজনীতি ৭ নভেম্বর ২০২৫, ৮:৪৩ অপরাহ্ন
শেয়ার

বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে ফরিদপুর রণক্ষেত্র, পুলিশসহ আহত ৩০


faridpur-news

বোয়ালমারীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় দোকান ভাঙচুরের পাশাপাশি কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়।

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর ও ১০-১৫টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফরিদপুর-১ আসনে বিএনপির মনোনয়নকে কেন্দ্র করে সাবেক সাংসদ ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি খোন্দকার নাসিরুল ইসলাম এবং উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল কয়েকদিন ধরে।

বিকেলে বোয়ালমারীর ওয়াপদা মোড়ে উভয় পক্ষই আলাদা করে কর্মসূচির প্রস্তুতি নেয়। একপর্যায়ে উভয় দলের সমর্থকরা মুখোমুখি হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শুরু হয় সংঘর্ষ, চলে প্রায় এক ঘণ্টা। উত্তেজিত কর্মীরা ওই সময় ১০-১৫টি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং হারুন কমপ্লেক্সসহ আশপাশের বেশ কিছু দোকানপাট ভাঙচুর করে।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তবে বিক্ষুব্ধদের বাধার মুখে প্রাথমিকভাবে ফিরে আসে। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছিলাম, কিন্তু ঝুনু গ্রুপের সমর্থকরা অতর্কিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালায়। ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং বহু নেতা-কর্মীকে আহত করে।”

অন্যদিকে উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু দাবি করেন, “আমাদের কর্মসূচিতে উপজেলা বিএনপির মিছিল থেকে হামলা চালানো হয়। আমাদের প্রায় ৩০টি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় এবং পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়।”

এ বিষয়ে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, “বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”