রাজধানীর উত্তরা এলাকায় হিরোয়ি মিয়েতা নামে এক জাপানি নাগরিকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তার বয়স আনুমানিক ৫৫। প্রায় মাসখানেক আগে নিখোঁজ হন তিনি। পরে পুলিশ, স্বজন ও জাপানি দূতাবাসের অজান্তেই উত্তরার একটি কবরস্থানে দাফনও করা হয় ওই নারীকে।
এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমপি’র মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ।
ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) বিধান ত্রিপূরা জানান, জাপানি ওই নারী দশ বছর ধরে বাংলাদেশে চাকরি করেন। মাসখানেক আগে নিখোঁজ হন তিনি।
জাপান দূতাবাসের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পরে উত্তরা এলাকা থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ডিসি বলেন, জাপানি এ নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছে নেই। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের ডিসি মুনতাসিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হিরোয়ি মিয়েতা উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরে ১৩/বি নম্বর সড়কের ৮ নম্বর হোল্ডিংয়ে সিটি হোমস নামে একটি ডরমেটরিতে থাকতেন। হিরোয়ি প্রতিদিন জাপানে বসবাসরত মাকে টেলিফোন করে নিজের অবস্থা জানাতেন।
২৬ অক্টোবর থেকে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পান তার মা। ফলে মেয়ের কোনো খোঁজ না পেয়ে তার মা বিষয়টি ঢাকায় জাপান দূতাবাসকে অবহিত করেন। জাপান দূতাবাসের পক্ষে ভাইস কাউন্সিলর কুসুকি মাৎসুনা প্রথমে বিষয়টি থানা পুলিশকে মৌখিকভাবে জানান। পরে ১৯ নভেম্বর উত্তরা পূর্ব থানায় হিরোয়ি নিখোঁজ থাকার বিষয়ে তিনি একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। যার নম্বর-৯৩৫।
জাপান দূতাবাসের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরির পর ঘটনা অনুসন্ধানে তৎপর হয় পুলিশ। পরে এ ঘটনায় উত্তরা পূর্ব থানায় রোববার রাতে মামলা (মামলার নম্বর ১১) করে পুলিশ।
এ ঘটনায় অন্তত আটজনকে আটক করেছে পুলিশ। যাদের মধ্যে কমপক্ষে চারজনই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করছে পুলিশ। এবিষয়ে কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করেছে পুলিশ।


























