সিউল, ২০ অক্টোবর ২০১৩:
কেসংয়ে একটি নতুন উচ্চপ্রযুক্তি অঞ্চল গঠনে আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে সম্মত হয়েছে উত্তর কোরিয়া। এটি দক্ষিণ কোরিয়া ও উত্তর কোরিয়ার যৌথ শিল্পাঞ্চলের নিকটবর্তী হবে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ)।
চলতি বছরের এপ্রিলে দুই কোরিয়ার সমন্বয়ে গঠিত কেসং শিল্পাঞ্চলটি বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় কেসংয়ের উত্তর কোরিয়ার নিয়ন্ত্রিত ১০ কিলোমিটার অংশ থেকে নিজেদের ৫৩ হাজার কর্মী প্রত্যাহার করে নেয় দেশটি। মূলত দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হতে থাকার এ ঘটনা ঘটে। সম্প্রতি শিল্পাঞ্চলটি আবারো খুলে দেয়া হয়। কিন্তু বিভিন্ন কারণে তাদের সম্পর্ক আবারো অবনতির দিকে যাচ্ছে। ফলে গত সোমবার দক্ষিণ কোরিয়া কেসং শিল্পাঞ্চলে বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণে একটি রোড শো আয়োজনের যে পরিকল্পনা করেছিল, তা বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেয়।
কেসিএনএ আরো জানায়, তারা কেসংয়ের উচ্চপ্রযুক্তি অঞ্চল গঠনের জন্য আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে। এ কোম্পানিগুলো মূলত পূর্ব এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের। অতি শিগগিরই এ চুক্তি ও প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য কাজ শুরু করবে। একই সঙ্গে তারা উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে পিয়ংইয়ং বিমানবন্দর ও কাইসংয়ের সঙ্গে একটি সংযোগ সড়ক তৈরি করবে।
তবে দক্ষিণ কোরিয়ার একত্রীকরণ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। কিন্তু কেসংয়ের বর্তমান অবস্থায় এ প্রকল্প থেকে তেমন কোনো লাভ আসবে না বলে মনে করেন তিনি। অন্যদিকে কেসিএনএর পক্ষ থেকে যে প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারাও এ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি।
এদিকে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত দৈনিক রোডং সিনমুং জানায়, দেশটি গত বৃহস্পতিবার দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন শেষ করেছে। রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, কানাডা, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন করা। ইউনিভার্সিটি অব নর্থ কোরিয়ার অধ্যাপক মুজিন বলেন, উত্তর কোরিয়ার এ কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য হলো প্রযুক্তিগত বিভিন্ন বিনিয়োগ তাদের দেশে করার জন্য দক্ষিণ কোরিয়াকে চাপ দেয়া। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়াও কাইসংয়ে বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তাদের মতে, এর ফলে উত্তর কোরিয়া আর তাদের ইচ্ছেমতো শিল্পাঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। তবে কেসং নিয়ে দুটি দেশের মধ্যে যে বৈরী সম্পর্কের সৃষ্টি হয়েছে, এতে বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে ঠিক কতটুকু আগ্রহী হবেন সে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্লেষকরা। সূত্রঃ বণিকবার্তা।




























