দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন হাই জাপানের সঙ্গে তার দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যত সম্পর্ক নিয়ে হতাশাজনক চিত্র তুলে ধরেছেন। বিবিসি’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পার্ক বলেন, অতীত ভুলের জন্য জাপান ক্ষমা চাইতে অব্যাহতভাবে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। এ অবস্থায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজে আবে’র সঙ্গে বৈঠক হবে অর্থহীন। সোমবার সাক্ষাৎকারটি প্রচার হওয়ার কথা রয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়া ১৯১০ থেকে ৪৫ সাল পর্যন্ত জাপানের উপনিবেশ ছিল। এ সময়ে নারীসহ দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণের ওপর অত্যাচার-নিপীড়ন চালানোর জন্য টোকিও’র প্রতি ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু জাপান বরাবরই এ আহ্বান অস্বীকার করে আসছে। ব্রিটেনে রাষ্ট্রীয় সফরের আগ মুহুর্তে দেয়া এ সাক্ষাৎকারে গিউন আরও বলেন, সে সময়কার কোন বিষয়েরই মীমাংসা হয়নি। জাপান যদি তার অতীত অবস্থান নিয়ে একই মন্তব্য পুনর্ব্যক্ত করতে থাকে তাহলে বৈঠকে বসে কি হবে?
তিনি বলেন, জাপান যদি অব্যাহতভাবে বলতে থাকে ক্ষমা চাওয়ার দরকার নেই এবং ভুল স্বীকারের প্রয়োজন নেই, তাহলে এ বৈঠক কি ভালো ফল আনবে?
এদিকে, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র এশিয়ায় তার ঘনিষ্ঠ দুই সামরিক মিত্র দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নের চেষ্টা করছে। তবে এতে সফলতা পেয়েছে সামান্যই। কারণ দু’দেশের মধ্যকার এ টানাপোড়নের কারণে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি বাতিল নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ হোঁচট খাচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ৬ জাতি গ্র“পের অন্যতম প্রভাবশালী দুই সদস্য জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া।




























