সিউল, ১১ নভেম্বর ২০১৩:
উচ্চগতির রেল নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার জন্য আগামী বছর প্রথমবারের মতো দরপত্র আহ্বান করতে যাচ্ছে থাইল্যান্ড। ২৫ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলারের এ প্রকল্পের কাজ পেতে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে চীন। খবর চায়না টাইমসের।অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের থাইল্যান্ড সফরটিকে চীনের উচ্চগতির রেল প্রযুক্তির কূটনৈতিক বিপণন হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। চীনের নিজেদের বুলেট ট্রেন নেটওয়ার্কটির দৈর্ঘ্য ১০ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি। এ কাজে সফলতার পর প্রস্তাবিত প্যান-এশিয়া রেল নেটওয়ার্কটি নির্মাণ করতে চাইছে দেশটি। এর আওতায় সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও লাওস একটি রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত হবে। আঞ্চলিক রেল নেটওয়ার্কটির কেন্দ্রে থাকা থাইল্যান্ড আগামী বছরেই তাদের অংশের নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করতে চাচ্ছে বলে একাধিক প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে।
স্বল্প ব্যয়ে আধুনিকতম প্রযুক্তি সরবরাহ করার যোগ্যতার পাশাপাশি কূটনৈতিক যোগাযোগের সুফল হিসেবেও কাজটি চীনের পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
থাই কর্মকর্তাদের ইঙ্গিত, চীনকে অবশ্যই জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও ফ্রান্সের কোম্পানিগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে আসতে হবে। প্রতিযোগীদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভাবা হচ্ছে পূর্ব জাপান রেলওয়ে (জেআর ইস্ট) কোম্পানিকে।
চীনের একটি বড় সুবিধা হলো, চুক্তির পুরো বিষয়টি সরকারের প্রত্যক্ষ সহায়তা পাচ্ছে। বাণিজ্যিক আদান-প্রদানের সঙ্গে দুই দেশের অন্যান্য অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক লেনদেনের সঙ্গে একটি প্যাকেজ আকারে দাঁড়িয়ে যেতে পারে রেল নেটওয়ার্ক নির্মাণ চুক্তিটি। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, থাই প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রাকে বিভিন্ন কূটনৈতিক প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি তার দেশ থেকে চাল আমদানি বাড়ানোরও অঙ্গীকার করেছেন লি কেকিয়াং।
অবশ্য এদিক থেকে জাপানও খুব পিছিয়ে নেই। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় থাইল্যান্ডে তাদের প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ অনেক বাড়ছে। ২০১২ সালেই ১২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে জাপানি কোম্পানিগুলো। এছাড়া জেআর ইস্ট আগেও ৪০ কোটি ডলারে ব্যাংককে একটি মেট্রোরেল নেটওয়ার্ক করে দিয়েছে। এছাড়া প্রযুক্তি ও মানের বিচারে চীনা প্রতিযোগীদের চেয়ে কিছুটা এগিয়েই আছে জাপানি কোম্পানিটি।
সাবেক রেলমন্ত্রী লিও ঝিজুনের দুর্নীতি ও ২০১১ সালের ওয়েংঝু দুর্ঘটনার পর থেকে রেল প্রযুক্তি রফতানিতে কিছুটা ধীর প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে চীনের মধ্যে। তবে শীর্ষ নেতাদের বিভিন্ন কূটনৈতিক সফরে রেল প্রযুক্তিতে চীনের সাফল্য ও প্রতিযোগিতায় সক্ষমতার বিষয়টি তুলে ধরার প্রবণতা অব্যাহত আছে। সূত্রঃ বণিকবার্তা।




























