সিউল, ২৯ জানুয়ারি ২০১৪:
বিদেশী শ্রমিকদের সাত বছরের বেশি অবস্থান করতে না দেয়া এবং সপরিবারে বিদেশী কর্মীদের বসবাস নিরুত্সাহিত করার একটি খসড়া পরিকল্পনা করেছিল সৌদি সরকার। এর বাস্তবায়ন আপাতত স্থগিত করেছে তারা। খবর অ্যারাবিয়ান বিজনেস ও আরব নিউজের।
শ্রমবাজারের সৌদীকরণের উদ্দেশে চলতি মাসের শুরুর দিকে বিদেশী কর্মীদের সাত বছরের বেশি দেশটিতে অবস্থান করতে না দেয়া এবং সপরিবারে দেশটিতে বসবাসে নিরুত্সাহিত করার একটি খসড়া নীতির পরিকল্পনা ঘোষণা করে শ্রম মন্ত্রণালয়। মতামত যাচাইয়ের অংশ হিসেবে ব্যবসায়ী সম্প্রদায় ও সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রস্তাবটি পাঠানো হয়।
সোমবার শ্রমনীতিবিষয়ক উপমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেন, পরিকল্পনাটি আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মিলে বিষয়টি আরো বিশ্লেষণ করা হবে।
আরব নিউজের প্রতিবেদনে সৌদি আরবের কয়েকজন বড় ব্যবসায়ীর মতামত ছাপা হয়। তারা চাইছেন, পরিকল্পনাটি বাতিল করা হোক। তাদের যুক্তি, বিদেশীদের শ্রম নিরুত্সাহিত করলে দেশটিতে পণ্য ও সেবার দাম বেড়ে যাবে।
বিদেশী শ্রমিকের সংখ্যা কমিয়ে এনে সৌদি নাগরিকদের কাজে লাগানোর একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে সরকারের। সরকারি হিসাবে, সৌদি আরবে বেকারত্বের বর্তমান হার ১২ শতাংশ। গত বছর অবৈধ বিদেশী শ্রমিকদের বিরুদ্ধে অভিযান ও অনিশ্চয়তার কারণে ১০ লাখেরও বেশি বিদেশী সৌদি আরব ছেড়েছে। এখনো ৮০ লাখের বেশি বিদেশী নাগরিক দেশটির বিভিন্ন খাতে কাজ করছে।
এক প্রতিবেদনে সম্প্রতি বলা হয়েছে, বিদেশীরা গড়ে ৬ দশমিক ৯ বছর সৌদি আরবে বসবাস করে। অদক্ষরা গড়ে ৭ দশমিক ৭ বছর। অনেকে আবার সারা জীবনই সেখানে কাটিয়ে দিচ্ছে। এদিকে সাপ্তাহিক কর্মঘণ্টা বর্তমান ৪০ থেকে ৪৫-এ উন্নীত করার প্রস্তাব দিয়েছে আইনপ্রণয়নকারী শূরা কাউন্সিল। তা কার্যকর হলে, প্রতি কর্মদিবসে গড়ে ৯ ঘণ্টা করে কাজ করতে হবে বেসরকারি খাতের কর্মীদের। গত বছর বৃহস্পতি ও শুক্রবারের বদলে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি ঘোষণা করে তারা। সূত্রঃ বণিকবার্তা।




























