রবিবার । ডিসেম্বর ৭, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক আন্তর্জাতিক ১৬ মে ২০১৪, ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন
শেয়ার

তুরস্কের কয়লা খনিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৮২


সিউল, ১৬ মে ২০১৪:

মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে তুরস্কের বিস্ফোরিত কয়লা খনি। আজও সেখান থেকে ৮ মৃতদেহকে উদ্ধার করা হয়েছে। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮২ জনে। দেশটির তেল ও জ্বালানিমন্ত্রী তানের ইলডিজ জানিয়েছেন, এখনো খনিত ১৫০ শ্রমিক আটকা রয়েছে। বৃহস্পতিবারও খনির নিচে দুই এলাকাকে নির্দেশ করে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া, বিবিসি ও সিএনএনের।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্কের মানিসা প্রদেশের সোমা শহরে এই খনিটিতে মঙ্গলবার ত্রুটিপূর্ণ বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার থেকে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ব্যক্তি মালিকানাধীন এই খনিটি রাজধানী আঙ্কারা থেকে ৪৫০ কি.মি পশ্চিমে অবস্থিত।

_74836331_022245239মন্ত্রী বলছেন, বিস্ফোরণের দুইদিন পরেও সেখানে এখনো আগুনের তীব্রতা কমেনি। মৃতদের দাফনে সারি সারি অসংখ্যা কবর খোঁড়া হয়েছে।

তুরস্ক সরকার জানিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় খনিটিতে ৭৮৭ জন খনি শ্রমিক কাজ করছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, মাটির এক কিলোমিটার নিচে খনিতে এখনো আটকা রয়েছে দেড়’শর মতো শ্রমিক। বাকিরা সবাই নিখোঁজ। অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজ এখনও চলছে। এরই মধ্যে মৃত্যুপুরী থেকে আহত ও মৃত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে ৩৬৩ জনকে ।

ওই মন্ত্রী বলেছেন, কার্বন মনোক্সাইডের বিষক্রিয়া এ হতাহতের কারণ হতে পারে। মৃতের সংখ্যা আরও বেড়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে মৃতের স্বজনরা ওই এলাকায় ভিড় জমিয়েছে। তারা সেখানে ধর্মঘটেরও ডাক দিয়েছে। তবে পুলিশ নিরাপত্তা জোরদার করেছে এলাকাটিতে। থামিয়ে দিয়েছে ওই আত্মীয় স্বজনদের।

একজন খনি শ্রমিকের মা আর্তনাদ করছিলেন, ‘আমি আমার ছেলের পথ চেয়ে বসে আছি, তোমরা আমার বুকের মানিককে ফিরিয়ে দাও। আমি আর কিচ্ছু শুনতে চাই না। এদিকে এ দুর্ঘটনার কারণে প্রধানমন্ত্রী রেসেপ তায়েপ এর্দোগান তার আলবেনিয়া সফর বাতিল করেছেন। তার পরিবর্তে তিনি ঘটনাস্থলে যাবেন বলে জানা গেছে।

এর আগে ১৯৯২ সালে দেশটিতে সবচেয়ে ভয়াবহ খনি দুর্ঘটনায় ২৭০ জন নিহত হয়।