জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। পর্দায় ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলেন এই নায়িকা। সাবলীল অঙ্গভঙ্গি আর অভিনয় দক্ষতায় বরাবরই সিনেমাপ্রেমীদের হৃদয় ছুঁয়ে যান এই তারকা। যেকোনো চরিত্রেই সাবলীলভাবে নিজের মধ্যে ধারণ করে ফুটিয়ে তুলতে জুড়ি নেই তার।
দুই বাংলার নন্দিত অভিনেত্রী তারকার জন্মদিন আজ ১ জুলাই। কত তম জন্মদিন সে এক ধোয়াশাই বটে! উইকিপিডিয়া বলে এক কথা, গুগল বলে আরেক কথা, জয়া নিজে বলেন এক কথা আর দর্শক তো যে যার মতো তার বয়সের সংখ্যাটা অনুমান করে নেন।
বয়স নিয়ে অন্তত দুই বাংলার আর কোন তারকাকে এতো প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় না, যতোটা হতে হয় জয়া আহসানকে। তার কারণ হলো, তাকে বহু বছর ধরে পর্দায় দেখছে দর্শক, কিন্তু চেহারায় তেমন কোন বদলই পাওয়া যায় না। দিন দিন জয়া যেন তরুণ হচ্ছেন!
কাজ নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করলেও নিজের ব্যক্তিগত জীবন গোপন রাখতে চান। এটা তার সচেতন সিদ্ধান্ত বলেই জানিয়েছেন তিনি। জয়া আহসান বলেন, একদমই আমার সচেতন সিদ্ধান্ত। আমি মনে করি, রিলেশনশিপ, ব্যক্তিগত বিষয় যত বেশি লোকের জানাজানি হবে—তত বেশি সম্পর্ক নষ্ট হয়, এটা আমার বিশ্বাস।
জয়ার প্রেম নিয়েও প্রায়ই কথা উঠে, এমন প্রসঙ্গে অভিনেত্রী স্পষ্ট বললেন, একা আছি কি না, এটা একমাত্র আমিই বলতে পারব। এটার উত্তর আমি দেব না, একা আছি কি নেই। কিন্তু দর্শক জয়া আহসানের যে ইমেজটা দেখে, তাতে তো ভালো লাগে। কারণ এ ইমেজটাই তো আমি তৈরি করতে চেয়েছিলাম। সেটাই আছে। আমি আমার ব্যক্তিগত জায়গায় অনুপ্রবেশ করতে দিতে চাই না আসলে। ব্যক্তিগত তো আসলে ব্যক্তিগত। ওটা আমার কাজের জীবনে কোনো উপকারে আসবে না। তাহলে কেন আমি তা খামোখা প্রকাশ করব? আমি শুধু কাজ দিয়ে দর্শকের খুব আগ্রহের জায়গায় রয়েছি। কাজ দিয়ে যারা আগ্রহের জায়গা নেই, কাজ নিয়ে যারা ইনসিকিউরড তারাই নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন, সংগ্রাম বিক্রি করে—সেগুলো আমার পছন্দ নয়। আমরা সেটা করার প্রয়োজন হয়নি।