
মাগুরার সাবেক এসপি, ইউএনও ও ওসি। সংগৃহীত ছবি
গত ৩০ জুন মাগুরা সদর আমলি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল রুমন। ঘটনার প্রায় সাত বছর পর অভিযোগটি করা হলো।
পরে মঙ্গলবার আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম অভিযোগটি আমলে নিয়ে ঘটনার তদন্তে সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী কাজী মিনহাজ উদ্দিন।
দায়েরকৃত মামলাটিতে আসামি করা হয়েছে মাগুরার তৎকালীন পুলিশ সুপার খান মো. রেজোয়ান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম, এসআই আল এমরান, এসআই বিশ্বজিত, কনস্টেবল পার্থ রায়, মাগুরা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ফজলুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি মীর মেহেদী হাসান রুবেল এবং মুরাদুজ্জামান মুরাদ নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে।
মামলার বাদী ছাত্রদল নেতা ফয়সাল রুমনের অভিযোগ, ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট ও ১৩ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ মুজিবুর রহমানকে কটাক্ষ করে ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ছবি পোস্ট করার অভিযোগে ১৮ আগস্ট মাগুরা সদর উপজেলার তৎকালীন নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশ তাকে আটকের পর নানাভাবে শারীরিকভাবে নির্যাতন চালায়। এতে তার স্পাইনাল কর্ড ও মেরুদন্ডের হাড় ভেঙে যায়।
এ ঘটনার পরদিন ফয়সাল রুমনের নামে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার আসামি হিসেবে তাকে ১৬৮ দিন বিনাবিচারে কারাবন্দি রাখা হয়। তাছাড়াও মিথ্যা মামলার কারণে তার ৫০ কোটি টাকার মানহানির ঘটনা ঘটেছে। বাদী মামলাটিকে মিথ্যা ও সাজানো দাবি করে বিচার চেয়েছেন।
মামলাটির বাদীপক্ষের আইনজীবী কাজী মিনহাজ উদ্দিন বলেন, একটি মিথ্যা মামলা সাজিয়ে নির্যাতন করায় বাদী সারাজীবনের মতো পঙ্গু হয়ে গেছেন। বাদী সরকারি দায়িত্বে নিয়োজিত ছয় কর্মকর্তাকে আসামি করেছেন। বিধায় বাদী ৩০ জুন মামলাটি দায়ের করলেও আদালতের বিচারক সবদিক বিবেচনা শেষে ১ জুলাই মঙ্গলবার মামলাটি আমলে নিয়ে এটি তদন্তের জন্যে সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন।



























