দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তি জায়ান্ট স্যামসাং আজ বাজারে আনছে তাদের নতুন ফোল্ডেবল স্মার্টফোন। প্রতিষ্ঠানটি এবারে একসঙ্গে উন্মোচন করতে যাচ্ছে দুইটি মডেল—গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ ৭ এবং জেড ফোল্ড ৭। স্মার্টফোনপ্রেমীদের মধ্যে এই ফোন দুটিকে ঘিরে ইতোমধ্যেই তৈরি হয়েছে ব্যাপক আগ্রহ ও উত্তেজনা।
নিউ ইয়র্ক সিটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ‘গ্যালাক্সি আনপ্যাকড ২০২৫’ ইভেন্টে উন্মোচন করা হবে এই ফোন দুটি। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় স্যামসাংয়ের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ওয়েবসাইটে এই ইভেন্টটি সরাসরি সম্প্রচারিত হবে।
এ ছাড়া জেড ফ্লিপ ৭-এর একটি লাইটার ভার্সানও গ্রাহকদের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে নির্মাণকারী সংশ্লিষ্ট সংস্থাটির, যা বাজেট সচেতন ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি। ফোল্ডিং স্মার্টফোনের পাশাপাশি লঞ্চ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে স্যামসাংয়ের নতুন স্মার্টওয়াচ—গ্যালাক্সি ওয়াচ ৮ এবং ওয়াচ ৮ ক্লাসিক।
স্যামসাং বরাবরই ফোল্ডেবল স্মার্টফোন প্রযুক্তির পথিকৃৎ হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করেছে। এবারের উন্মোচন হতে যাওয়া মডেল দুটিও ব্যতিক্রম নয়। ধারণা করা হচ্ছে, এই ফোনগুলো ডিজাইন, পারফরম্যান্স এবং স্থায়িত্বের ক্ষেত্রে আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।
গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড ৭-এ থাকছে ৮.২ ইঞ্চির ইনার ডিসপ্লে এবং ৬.৫ ইঞ্চির কভার ডিসপ্লে, উন্নত ক্যামেরা ও শক্তিশালী ব্যাটারি। এতে ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ৩ প্রসেসর, যা আগের যেকোনো চিপসেটের তুলনায় অনেক বেশি দ্রুতগতির। ক্যামেরা বিভাগে থাকবে ২০০ মেগাপিক্সেলের মেইন ক্যামেরাসহ মোট তিনটি ক্যামেরা। এতে আরও থাকছে উন্নত ফোল্ডিং প্রযুক্তি এবং হালকা ও পাতলা বডি ডিজাইন।
অন্যদিকে গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ ৭ মূলত তরুণ প্রজন্ম ও ফ্যাশনপ্রেমীদের নজর কাড়বে। এতে থাকছে ৬.৮৫ ইঞ্চির ইনার ডিসপ্লে এবং ৪ ইঞ্চির কভার ডিসপ্লে থাকতে পারে, উন্নত ব্যাটারি পারফরম্যান্স এবং আধুনিক রুচিসম্মত নকশা। স্ক্রিন হবে আগের তুলনায় বড় এবং এতে যুক্ত থাকবে নতুন কিছু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ফিচার।
যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে দাম ঘোষণা করা হয়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশী টাকায় গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড ৭-এর মূল্য হতে পারে প্রায় ১ লাখ ৯৭ হাজার টাকা এবং গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ ৭-এর মূল্য হতে পারে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকার কাছাকাছি।
স্যামসাংয়ের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, ফোন দুটি গ্যালাক্সি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি দ্বারা সমৃদ্ধ থাকবে এবং ওয়ান ইউআই ৮ নামের নতুন ইউজার ইন্টারফেস ব্যবহার করা হবে। এছাড়া ব্যবহারকারীরা পাবেন টানা সাত বছর পর্যন্ত সফটওয়্যার আপডেটের নিশ্চয়তা।
স্যামসাংয়ের লক্ষ্য এবার শুধু ফোল্ডিং ফোনের জনপ্রিয়তাকে ধরে রাখা নয়, বরং এই সেগমেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বী ব্র্যান্ডদের পেছনে ফেলে আরও এগিয়ে যাওয়া।





























