রবিবার । ডিসেম্বর ৭, ২০২৫
ডেস্ক রিপোর্ট বিনোদন ১৩ জুলাই ২০২৫, ৩:৫৮ অপরাহ্ন
শেয়ার

মারা গেছেন তেলেগু অভিনেতা কোটা শ্রীনিবাস


তেলেগু চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা ও সাবেক বিধায়ক কোটা শ্রীনিবাস রাও আর নেই। রোববার (১৩ জুলাই) ভোররাতে হায়দরাবাদের ফিল্মনগর এলাকার নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।

পরিবারের বরাতে জানা গেছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী রুক্মিণী ও দুই কন্যাকে রেখে গেছেন। ২০১০ সালে একমাত্র পুত্র কোটা প্রসাদ রাও সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান।

কোটা শ্রীনিবাস রাও ছিলেন তেলেগু সিনেমার এক উজ্জ্বল তারকা। খল চরিত্র, কমেডিয়ান কিংবা চরিত্রাভিনেতা—সব ভূমিকাতেই নিজস্বতা রেখে দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন তিনি। তেলেগুর পাশাপাশি অভিনয় করেছেন তামিল, হিন্দি, কন্নড় ও মালয়ালম ছবিতেও। অভিনীত ছবির সংখ্যা প্রায় ৭৫০টি, যার মধ্যে তামিলে ৩০টি, হিন্দিতে ১০টি, কন্নড়ে ৮টি এবং একটি মালয়ালম ছবি। তার শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘সুবর্ণ সুন্দরী’ (২০২৩)।

১৯৪২ সালের ১০ জুলাই অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা জেলার কাঙ্কিপাড়ু গ্রামে জন্ম নেন কোটা। ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি ছিল গভীর অনুরাগ। তার মা কোটা সীতারামা অনসূইয়াম্মা তাকে বরাবরই অনুপ্রাণিত করতেন। ছাত্রজীবনে নাটকের মঞ্চেই তার অভিনয় শুরু।

চলচ্চিত্রে আসার আগে তিনি স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়াতে চাকরি করতেন এবং সমান্তরালভাবে থিয়েটারে যুক্ত ছিলেন। ১৯৭৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘প্রাণম খারেদু’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে তার অভিষেক ঘটে।

অভিনয়ের জন্য তিনি পেয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের দেওয়া ৯টি নন্দী পুরস্কার। ২০১৫ সালে ভারত সরকার তাকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করে, যা তুলে দেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি।

শুধু অভিনয়েই নয়, রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন কোটা। ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বিজয়ওয়াড়া (পূর্ব) বিধানসভা আসনে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) এমএলএ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

কোটা শ্রীনিবাস রাওয়ের মৃত্যুতে তেলেগু চলচ্চিত্র জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ভারতীয় চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতির অঙ্গনে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।