রবিবার । ডিসেম্বর ৭, ২০২৫
ডেস্ক রিপোর্ট বিনোদন ১৪ জুলাই ২০২৫, ৮:৫৪ পূর্বাহ্ন
শেয়ার

শহীদ মিনারে ‘জুলাই’-এর গান ও মিউজিক্যাল ড্রোন শো


আজ ১৪ জুলাই জাতীয় শহীদ মিনার চত্বর রূপ নেবে স্মৃতি, সংগীত ও আকাশজুড়ে আলোকছটার এক অনন্য সমাবেশে। জুলাই মাসজুড়ে চলা গণঅভ্যুত্থানের স্মরণে নানা আয়োজনের মধ্যে সবচেয়ে ব্যতিক্রমী ও হৃদয়ছোঁয়া সন্ধ্যাটিই হতে চলেছে এদিন।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হবে বিশেষ এই অনুষ্ঠান। সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু হতে যাওয়া এ আয়োজনের শিরোনাম– ‘মোরা ঝঞ্ঝার মতো উদ্দাম’।

জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হবে, যেখানে অংশ নেবেন শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীবৃন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ এবং জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সায়ান। এরপর তিনি পরিবেশন করবেন উজ্জীবনী গান— ‘আমিই বাংলাদেশ’, ‘জয় বাংলার’, ‘হুশিয়ারি’, ‘তাজ্জব বনে যাই’, ‘আমার নাম প্যালেস্টাইন’সহ একাধিক আন্দোলন-প্রেরণামূলক সংগীত।

পরবর্তী পর্বে দেখানো হবে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রযোজিত একটি তথ্যচিত্র। এরপর পরপর প্রদর্শিত হবে দুইটি চলচ্চিত্র— ‘দীপক কুমার গোস্বামী স্পিকিং’ এবং ‘জুলাই বিষাদ সিন্ধু’।

রাত সাড়ে ৭টায় মঞ্চে আসবেন জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী পাঁচজন প্রত্যক্ষ সাক্ষী এবং শহীদ পরিবারের তিনজন সদস্য। তাঁরা তুলে ধরবেন তাঁদের জীবনের অভিজ্ঞতা, স্মৃতি ও সংগ্রামের কথা।

এরপর শুরু হবে ব্যান্ড পারফরম্যান্স। প্রথমে ‘ইলা লা লা’ পরিবেশন করবে— ‘সংগতি’, ‘অচিরজীবীর প্রার্থনা’, ‘বাঘের গান’ ও ‘নীল নির্বাসন’। এরপর ‘স্লোগান গার্লস’ মঞ্চ মাতানোর পর পারফর্ম করবে ‘এফ মাইনর’, যাদের পরিবেশনায় থাকবে— ‘আলো আসবেই’, ‘মুক্তি’, ‘ডাহুক’ ও ‘মেয়ে’। এরপর মঞ্চে আসবেন পারসা মাহজাবীন, যিনি গাইবেন— ‘চলো ভুলে যাই’, ‘মুক্তির মন্দির’ ও ‘মোরা ঝঞ্ঝার মত উদ্দাম’।

সবশেষে, এলিটা করিম তাঁর কণ্ঠে উপস্থাপন করবেন– ‘আমি বাংলায় গান গাই’, ‘ধন ধান্য পুষ্প ভরা’, ‘পলাশীর প্রান্তর’, ‘ঘুরে দাঁড়াও’ ও ‘বাংলাদেশ’— যা দিয়ে সংগীতানুষ্ঠানের আবেগপূর্ণ সমাপ্তি টানা হবে।

তবে রাত ১০টার দিকে অপেক্ষা করছে সন্ধ্যার সবচেয়ে চমকপ্রদ পর্ব— এক বিশেষ মিউজিক্যাল ড্রোন শো। বাংলাদেশ সরকার ও চীন সরকারের যৌথ অংশগ্রহণে আকাশে উঠবে দুই হাজার ড্রোন— যা আলোর চিত্রে ফুটিয়ে তুলবে জুলাই আন্দোলনের ধারাবাহিক ইতিহাস। প্রথম ধাপে দেখা যাবে, কিভাবে বাংলাদেশ এই আন্দোলনের পথে অগ্রসর হলো; দ্বিতীয় ধাপে জীবন্ত হয়ে উঠবে ১৪ জুলাইয়ের সেই অবিস্মরণীয় মুহূর্ত— যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলের মেয়েরা রাজপথে নেমে এসেছিল নির্ভীক এক স্রোতের মতো।

শিল্পকলা একাডেমির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অনুষ্ঠানটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত। শুধুই এক সন্ধ্যা নয়— এটি হতে যাচ্ছে ইতিহাসের সঙ্গে সরাসরি সংযোগের এক দুর্লভ সুযোগ।