কারফিউ শেষ হলেও গোপালগঞ্জে এখনও বহাল রয়েছে ১৪৪ ধারা। জরুরি সেবা, শিক্ষার্থী, পরীক্ষার্থী এবং সরকারি অফিস-আদালত এর আওতা থেকে বাইরে থাকলেও, জেলাজুড়ে সভা-সমাবেশ ও একাধিক মানুষের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
রোববার সকাল থেকে সীমিত পরিসরে খুলেছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সড়কে কিছু যানবাহনও চলাচল করছে। তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রয়েছে সতর্ক অবস্থানে।
শনিবার রাত ৮টা থেকে রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত চলা কারফিউ শেষে জেলা প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় ১৪৪ ধারা জারি রাখে। শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান এই সিদ্ধান্ত নেন।
গত বুধবার এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোপালগঞ্জ। দফায় দফায় সংঘর্ষে প্রাণ হারায় চারজন। এরপর কারফিউ জারি করা হয়। সংঘর্ষে আহত আরও একজন বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সংঘর্ষের ঘটনায় তিন হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে আসামি করে চারটি পৃথক মামলা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ২৭৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসনের কড়া নজরদারির মধ্যে থাকবে পুরো জেলা।