শিরোপা ধরে রাখতে শেষ ম্যাচে ড্র করলেই চলত। তবে শুধু ড্রতেই সন্তুষ্ট হয়নি লাল-সবুজের মেয়েরা, জয়ের রথে চেপেই টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ।
সোমবার রাজধানীর বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে নেপালকে একচেটিয়া খেলায় ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে স্বাগতিকরা। দলের চারটি গোলই করেছেন সাগরিকা, যিনি নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরে এসেই নিজের জাত চেনালেন।
নেপালের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে লালকার্ড পেয়ে তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ ছিলেন ঠাকুরগাঁওয়ের এই তরুণী। তবে মাঠে ফিরেই গত আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা ও সেরা খেলোয়াড় সাগরিকা দেখালেন কেন তিনি দলের মূল ভরসা।

সাগরিকার এমন উচ্ছ্বাসের দিনে অসহায়ত্ব প্রকাশ পেয়েছে নেপালের গোলরক্ষকের
ম্যাচের ৭ মিনিটেই পূজা দাসের পাস ধরে স্বপ্না বল বাড়িয়ে দেন সামনে, যেখান থেকে সাগরিকা নিখুঁত কোনাকুনি শটে প্রথম গোল করেন। এর আগে, ৫ মিনিটেই গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন সাগরিকা, কিন্তু নেপালের ডিফেন্ডার আনিশা রাই গোললাইন থেকে বল সাফ করেন।
নেপালও কয়েকবার ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছিল। ১৯ মিনিটে গোলরক্ষক মিলির চমৎকার সেভে একটি নিশ্চিত গোল থেকে বেঁচে যায় বাংলাদেশ। আবার পরের মিনিটে আনিশা রাই আরেকটি গোললাইন সেভ করে নেপালকে ম্যাচে টিকিয়ে রাখেন।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো সুযোগই দিলো না বাংলাদেশ। ৫১ মিনিটে উমেহলার পাস থেকে সাগরিকা বাঁ দিক দিয়ে কাটিয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন। এর পাঁচ মিনিট পরেই হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন সাগরিকা—ড্রপ খাওয়া বলে চিপ শটে নেপালি গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন।
৭৭ মিনিটে আসে সাগরিকার চতুর্থ গোল। মাঝমাঠ থেকে মুনকির চমৎকার পাসে বল পেয়ে ডান পায়ের শটে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন বাংলাদেশের ‘নাম্বার টেন’। গোলটিতে মুনকির অবদান ছিল চোখে পড়ার মতো।
এই জয়ে ছয় ম্যাচে ছয় জয় নিয়ে পূর্ণ ১৮ পয়েন্টে শিরোপা ধরে রাখল বাংলাদেশ। এবং সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবলে নিজেদের আধিপত্য আরও একবার প্রতিষ্ঠিত করল অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে।