
যাত্রাবাড়ীতে যুবদল কর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
এর আগে সন্ধ্যা পৌনে ৮টার দিকে তদন্ত কর্মকর্তা, যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক মো. খালেদ হাসান তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর আগে সকালে ধানমণ্ডির নিজ বাসা থেকে সাবেক প্রধান বিচারপতিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৮ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় যাত্রাবাড়ী থানাধীন এলাকায় যুবদল কর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালানো হয়। তাকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত এবং টিয়ারশেল ও সাউন্ড বোমা ছোড়া হয়।
গুলিবিদ্ধ হয়ে আহাদ যাত্রাবাড়ী থানার কাজলা পুলিশ বক্সের সামনে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় তৎকালীন ওসি আবুল হোসেন তার দুই পায়ে ব্রাশ ফায়ার করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। পরে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় নিহত আহাদের বাবা মো. আলাউদ্দিন গত ৬ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৬৭ জনকে নামীয় এবং আরও ১ থেকে ২ হাজার জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক মামলার এজাহারভুক্ত ৪৪ নম্বর আসামি। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একজন সাবেক প্রধান বিচারপতির গ্রেপ্তার ও কারাগারে যাওয়া বাংলাদেশের বিচার ও রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র আলোড়ন তুলেছে।


























