প্রয়াত চিত্রনায়ক জসীমের ছেলে ‘ওন্ড’ ব্যান্ডের ভোকালিস্ট এবং বেজিস্ট এ কে রাতুল মারা গেছেন। আজ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জিমে থাকার সময় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন বলে জানা গেছে। ব্যান্ডের গীতিকার সিয়াম ইবনে আলম খবরটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, উত্তরার একটি জিমে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হন রাতুল। পরে তাকে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে লুবানা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। হাসপাতাল থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মরদেহ বাসায় নেওয়া হয়েছে।
রাতুল ও তার ব্যান্ড ‘ওন্ড’ বাংলাদেশের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে এক ভিন্ন যাত্রা শুরু করে। ২০১৪ সালে তাদের প্রথম অ্যালবাম ‘ওয়ান’ এবং ২০১৭ সালে দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘টু’ মুক্তির পর রাতুলের ব্যান্ডটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
এ কে রাতুল কেবল একজন গায়কই ছিলেন না, তিনি রক সংগীতজগতের একজন দক্ষ প্রযোজক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। অনেক জনপ্রিয় ব্যান্ডের অ্যালবাম তৈরিতে তার অবদান রয়েছে।
রাতুলের মৃত্যুতে শোকে আচ্ছন্ন দেশের সংগীতাঙ্গন। সংগীতশিল্পী আলিফ আলাউদ্দীন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘হঠাৎ রাতুলের মৃত্যুসংবাদ শুনে আমি স্তব্ধ ও গভীরভাবে শোকাহত। আমাদের সংগীতাঙ্গন থেকে একটি আলো হারিয়ে গেলে। তাঁর পরিবার, বন্ধুদের জন্য প্রার্থনা রইল।’
সংগীতশিল্পী ফাতেমা তুয যাহরা ঐশী লিখেছেন, “ওন্ড’ এর গান আর শুনতে পারবো না! রাতুল আমার দেখা সবচেয়ে বিনয়ী সঙ্গীতশিল্পীদের একজন। আমি বিশ্বাসই করতে পাচ্ছি না তিনি আরও নেই। জীবন এত ছোট এবং অপ্রত্যাশিত। শান্তিতে বিশ্রাম নিন রাতুল।”
শোক প্রকাশ করে গীতিকার রবিউল ইসলাম জীবন লিখেছেন, “চিত্রনায়ক জসীমের ছেলে, ‘ওন্ড’ ব্যান্ডের ভোকালিস্ট, ড্রামার, বেজিস্ট, সংগীত পরিচালক ও সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার এ কে রাতুল মারা গেছেন। মৃত্যুটা খুবই মর্মান্তিক! রাতুলের বাবা জসীম অল্প হায়াৎ পেয়েছিলেন। রাতুল পেলেন তারচেয়েও অনেক কম। আহা! ওপারে শান্তিতে থাকুন হে গান মানুষ।”


























