রবিবার । ডিসেম্বর ৭, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক আদালত ২৯ জুলাই ২০২৫, ৩:১৯ অপরাহ্ন
শেয়ার

নূরের আয় বহির্ভূত ৫.৩৭ কোটি টাকার সন্ধান, ১৫৮ কোটির সন্দেহজনক লেনদেন


হাসপাতালে আসাদুজ্জামান নূরের ওপর হামলা

সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকার সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদুক)। এছাড়া তার ১৯ ব্যাংক একাউন্টে ১৫৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের আলামত মিলেছে। ফলে সাবেক এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুদক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এর আগে, গত ৮ জুলাই নীলফামারী জেলার চারটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। এর মধ্যে রয়েছে দুটি হত্যা মামলা। এদিন নীলফামারী জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এর বিচারক মো. মোশাররফ হোসেনের আদালতে ঢাকার কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন সাবেক এই সংসদ সদস্য। এরপর পুলিশ আবেদন করলে তাকে চার মামলায় ‘শোন অ্যারেস্ট’ (গ্রেপ্তার দেখানো) দেখায় আদালত।

মামলাগুলোর নম্বর যথাক্রমে, জিআর ২৬৭/২৪, জিআর ২৬৯/২৪, জিআর ২৭৪/২৪ ও জিআর ৩২০/২৪। সবগুলো মামলাই আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২০২৪ সালের আগস্টে গঠিত গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে দায়ের করা হয়।

এই চারটি মামলার মধ্যে দুটি হত্যা মামলা। একটিতে বাদী লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের বিএনপি নেতা গোলাম রব্বানীর পরিবারের সদস্য, অপরটিতে জামায়াতের কর্মী আবু বক্কর সিদ্দিকের স্বজন। বাদীরা অভিযোগ করেছেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ সময় নীলফামারীতে সংঘটিত সহিংসতায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে এবং তার জন্য প্রধান দায়ী ছিলেন তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা আসাদুজ্জামান নূর।

এর আগেই ঢাকায় ছাত্র আন্দোলনের সময় মিরপুর এলাকায় সিয়াম ও মামুন নামের দুই ছাত্র নিহতের ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় আসাদুজ্জামান নূর গ্রেপ্তার হন। গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে বেইলি রোডের নওরতন কলোনির বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর মিরপুর থানার মামুন হত্যা মামলায় ২৯ সেপ্টেম্বর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বর্তমানে তিনি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

হত্যা মামলার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে নীলফামারী সদর থানায় আরও দুটি মামলা দায়ের হয় বিস্ফোরক দ্রব্য আইন এবং হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগে। এসব মামলাও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়কার ঘটনা ঘিরে। অভিযোগে বলা হয়, ওই সময় পরিকল্পিতভাবে প্রশাসন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালানো হয়।