রবিবার । ডিসেম্বর ৭, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক দেশজুড়ে ২৯ জুলাই ২০২৫, ৮:৫০ অপরাহ্ন
শেয়ার

প্রেমের টানে মাদারীপুরে এসে বিয়ে করলেন চীনা যুবক


madaripurটিকটকে প্রথম পরিচয়, এরপর উইচ্যাটে নিয়মিত কথাবার্তা—এভাবেই গড়ে ওঠে বন্ধুত্ব, আর সেই বন্ধুত্বই রূপ নেয় গভীর প্রেমে। অবশেষে প্রেমের টানে সুদূর চীন থেকে বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন ২৬ বছর বয়সী শি তিয়ানজি। প্রেমিকা মাদারীপুরের সুমাইয়া আক্তারের (২০) হাত ধরে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করলেন তিনি।

রোববার (২৭ জুলাই) মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের মহিষেরচর গ্রামে সুমাইয়ার বাড়িতে মুসলিম রীতি অনুযায়ী তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। এ সময় পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয় অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

সুমাইয়া আক্তার মাদারীপুর সরকারি মহিলা কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। তার বাবার নাম সাইদুর রহমান।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, চার মাস আগে টিকটকে পরিচয় হয় সুমাইয়া ও শি তিয়ানজির। এরপর উইচ্যাটে নিয়মিত যোগাযোগ করতে করতে তাদের বন্ধুত্ব থেকে গড়ে ওঠে প্রেম। অবশেষে ২৪ জুলাই বাংলাদেশে আসেন শি তিয়ানজি। ২৭ জুলাই তারা নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ের রেজিস্ট্রি করে ইসলামী রীতি অনুযায়ী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

madaripurবিয়ে ও চীনা যুবকের আগমন ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক কৌতূহল দেখা দিয়েছে। আশপাশের এলাকা থেকে প্রতিনিয়ত লোকজন ভিড় করছেন শি তিয়ানজিকে এক নজর দেখতে।

সুমাইয়া আক্তার বলেন, আমাকে প্রচণ্ড ভালোবাসেন শি তিয়ানজি। আর এজন্যই আমার ভালোবাসার টানে তিনি সূদুর চীন থেকে বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন। পরিবারের সম্মতিতেই মুসলিম শরিয়ত মোতাবেক আমাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। ভালোবাসার টানে আমিও চীনা ভাষা শিখেছি। ভবিষ্যতে আমার স্বামী শি তিয়ানজির সঙ্গে চীনে যাবো।

চীনা নাগরিক শি তিয়ানজি বলেন, সুমাইয়া অনেক ভালো মেয়ে। তাই আমি সুমাইয়াকে ভালোবেসে চীন থেকে বাংলাদেশে এসেছি। এ দেশের পরিবেশ আমার খুবই ভালো লেগেছে। তবে গরমটা অনেক বেশি। এ সময় ভবিষ্যতে তার স্ত্রী সুমাইয়াকে চীনে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন শি তিয়ানজি।

সুমাইয়ার বাবা সাইদুর রহমান বলেন, চীনা নাগরিকের সঙ্গে আমার মেয়ের প্রেমের সম্পর্কের কথা জানতে পারি। পরে আমি তাতে সম্মতি দিই। ছেলে বাংলাদেশে আসলে আমি নিজে ঢাকা গিয়ে নিয়ে আসি এবং মুসলিম শরীয়ত মোতাবেক তাদের বিয়ে দিই। ছেলে-মেয়ে দুইজন সুখে থাকলেই আমরা খুশি।