
সিলেটের বিশ্বনাথে স্কুলছাত্র সুমেল মিয়া হত্যা মামলায় ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দা আমিনা ফারজিন এ রায় ঘোষণা করেন।
পাবলিক প্রসিকিউটর আশিক উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রায় ঘোষণাকালে একজন ছাড়া সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের চৈতননগর গ্রামের যুক্তরাজ্যপ্রবাসী সাইফুল ইসলাম, তার ভাই নজরুল ইসলাম ও সদরুল ইসলাম, একই গ্রামের সিরাজ উদ্দীন, জামাল আহমদ, নোয়াগাঁও গ্রামের শাহিন আহমদ, ঘাগুটিয়া গ্রামের আব্দুল জলিল ও পশ্চিম গড়গড়ি গ্রামের আনোয়ার হোসেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- চৈতন নগরের ইলিয়াস হোসেন, আব্দুন নুর, জয়নাল হোসেন, আশিক হোসেন, আছকির আলী, ফরিদ আহমদ ও আকবার আলী। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
২ বছর করে দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- লুৎফুর, ময়ূর, মানুনুর রশিদ (পলাতক), কাওছার, দিলাফর, পারভেজ, ওয়াহিদ, দিলোয়ার, আজাদ, মুক্তার, রকিব, আঙ্গুর, জাবেদ, শফিক, মখলিছ, ফিরোজ ও ফখর উদ্দিন।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বনাথ উপজেলার চাউলধনী হাওর ভুয়া মৎস্যজীবী সমিতির নামে ইজারা নিয়ে প্রবাসী সাইফুল ও তার লোকজন ভোগদখল করে আসছিলেন। ইজারার আওতাধীন এলাকার ৩০টি গ্রামের কৃষকদের জমিসহ খাল, নালা, ডুবা দখলে নেন তারা। এ নিয়ে এলাকার কৃষকরা ইজারা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করেন। ২০২১ সালের ১ মে ভুয়া ইজারাদাররা মালিকানাধীন জমি থেকে মাটি কাটতে শুরু করেন। এতে বাধা দেন জমির মালিক চৈতননগর গ্রামের ইব্রাহিম আলী সিজিলসহ তাদের স্বজনরা। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। একপর্যায়ে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ভুয়া ইজারাদাররা হামলা ও গুলি চালালে স্থানীয় শাহজালাল হাই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র সুমেল নিহত হয়। গুলিবিদ্ধ হন তার বাবা ও চাচাসহ ৩ জন।


























