কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে আটক করা হয়েছে। বুধবার (৬ আগস্ট) রাতে ডিবির একটি দল তাকে হেফাজতে নেয়। পরে তাকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিবির যুগ্ম কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম।
অভিযোগ ছিল মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিন স্বামীর সঙ্গে এই প্রশিক্ষণ দিতে অংশ নিতেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর তাকে খুঁজছিল পুলিশ।
এর আগে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা সংলগ্ন একটি কনভেনশন সেন্টারে গোপন বৈঠক ঘিরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের ২২ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ২০ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহাদুজ্জামান মোল্লার স্ত্রী শামীমা নাসরিন শম্পা ও বরগুনার সোহেল রানাকে ডিবি দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাদের দেয়া তথ্যানুযায়ি ডিবি সুমাইয়া জাফরিনকে গ্রেপ্তার করে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সুমাইয়া জাফরিন কলেজ জীবনে ছাত্রলীগ করতেন। তার গ্রামের বাড়ি যশোরের শার্শায়। তার বাবা মেজর জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর হারুন।
গত ১ আগস্ট আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, ১৭ জুলাই অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাকে তার নিজ বাসস্থান রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে আটক করে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়। ঘটনাটির সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের লক্ষ্যে এরই মধ্যে একটি তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে এবং প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
পূর্ণ তদন্ত শেষ হওয়া সাপেক্ষে প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ওই সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করা হচ্ছে।