
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম
দেশে বর্তমানে প্রায় ৭ হাজার চিকিৎসকের সংকট রয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। এ সংকট মোকাবিলায় আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৩ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। পাশাপাশি তিন হাজার ২০০ নার্স নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে সরকারের।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাজধানীর মিন্টো রোডে শহীদ আবু সাঈদ আন্তর্জাতিক কনভেনশন হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শীর্ষ কর্মকর্তা ও উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি জানান, চিকিৎসকদের পেশাগত বৈষম্য দূর করতে ৭ হাজার সুপারনিউমারারি পদোন্নতির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ৪৩ হাজার জ্যেষ্ঠ নার্সের মধ্যে কয়েকজনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের কাজে ধীরগতির বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, “বিভিন্ন পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে মামলা করায় প্রশাসনিক কার্যক্রমে গতি কমে গেছে। তবে আমরা ডিজিটাইজেশনের দিকে এগোচ্ছি, যেন পদোন্নতির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বাণিজ্য না হয়।”
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরও জানান, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর একাধিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে। এর মধ্যে আন্দোলনের শহীদদের তালিকা প্রকাশ ও আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত ৭৮ জন আহতকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে, যাদের মধ্যে চারজনকে জরুরি ভিত্তিতে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে।
অঙ্গ প্রতিস্থাপন আইন নিয়ে জটিলতার কথা তুলে ধরে উপদেষ্টা জানান, যাতে নাগরিকরা প্রতিবেশী দেশে না গিয়ে দেশেই চিকিৎসা নিতে পারেন, সে লক্ষ্যে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংশোধিত আইন আগামী সপ্তাহেই প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ হতে পারে।
সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর মানোন্নয়নের বিষয়ে নূরজাহান বেগম বলেন, এ লক্ষ্যে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। কিছু মেডিকেল কলেজ একীভূত করার পরিকল্পনাও রয়েছে, যা শিক্ষার মান উন্নয়নে সহায়ক হবে।
তিনি আরও জানান, অনেক মেডিকেল কলেজের হোস্টেলে বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ নেই। তাই ১৯টি নতুন ছাত্রাবাস নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যেখানে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী থাকার সুযোগ পাবে।