গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৮ আগস্ট) ভোর থেকে শুরু হওয়া অভিযানে ওই পাঁচজনকে আটক করা হয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন খান জানান, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের বিভিন্ন টিম বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম–পরিচয় জানানো হয়নি।
গত বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় প্রকাশ্যে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার সাংবাদিক। আসাদুজ্জামান তুহিন (৩৮) ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার ভাটিপাড়া এলাকার হাসান জামালের ছেলে।
এদিকে ঘটনার একটি সিসি ক্যামেরার ভিডিও এরই মধ্যে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, এক যুবক প্রকাশ্যে এক তরুণীকে মারধর করছেন। তখন ৬-৭ জন যুবক চাপাতি, রামদা ও ছুরি নিয়ে ওই যুবকের ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করেন। ওই যুবক দৌড়ে পালিয়ে গেলে অস্ত্রধারীরা তাকে ধাওয়া করে।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সাংবাদিক তুহিন এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করছিলেন। সেই সময় অস্ত্রধারীরা তাকেও ধাওয়া দেয়। তিনি প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে আশ্রয় নেন ঈদগাহ মার্কেট এলাকার একটি চায়ের দোকানে। দুর্বৃত্তরা সেখানে ঢুকেই তাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এরপর হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।
প্রত্যক্ষদর্শী এক চা দোকানি বলেন, ওই সাংবাদিক দোকানে আসেন। তারপর পাঁচ-ছয়জন লোক রামদা, চাপাতি ও ছুরি নিয়ে এসে তাকে কোপাতে থাকে। তাদের থামার জন্য অনুরোধ করলে তারা গালি দিয়ে বলে তোর ঘাড় ফেলে দেব। পরে আমি ভয় পেয়ে লুকিয়ে পড়ি।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ক্রাইম-উত্তর) রবিউল হাসান বলেন, অন্যজনকে মারধর করার ভিডিও ধারণ করায় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে আসামিদের শনাক্ত করা হয়েছে।




























