
স্বাস্থ্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে বদ্ধপরিকর। যেকোনো সংকট বা দুর্যোগে চীন সবসময় বন্ধুর মতো সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
শুক্রবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘নিহাও! চীন-বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা অগ্রগতি এক্সপো ২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি মাইলস্টোনের বিমান দুর্ঘটনায় চীন তাৎক্ষণিকভাবে সহায়তা দল পাঠিয়েছে। গত বছর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অনেকেই দৃষ্টি, হাত-পা হারানোসহ গুরুতর শারীরিক প্রতিবন্ধকতায় আক্রান্ত হন; চীন তাদের চিকিৎসায় এগিয়ে এসেছে। রংপুর বিভাগে ১,০০০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ, চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ, চিকিৎসক-নার্স ও টেকনিশিয়ানদের প্রশিক্ষণ চীনা সরকারের অনুদানে বাস্তবায়ন হবে।
এ ছাড়া জুলাই আন্দোলনের আহতদের জন্য পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপনে সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে জানান তিনি।
উৎপাদন খাতে চীনের দক্ষতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ তাদের আদর্শ অংশীদার হতে চায়। স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগ মানবসম্পদ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং উন্নত স্বাস্থ্যসেবা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে। এজন্য ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা, ফিজিক্যাল মেডিসিন, রোবোটিকস ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় প্রশিক্ষণ বিস্তারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যৌথ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও সমৃদ্ধির নতুন সম্ভাবনা উন্মোচন করতে চায়।