আইফোনপ্রেমীদের জন্য দারুণ খবর! অ্যাপল শিগগিরই বাজারে আনতে যাচ্ছে নতুন আইফোন ১৭ সিরিজ। ইতিমধ্যেই প্রযুক্তি জগতে এ সিরিজ ঘিরে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা। নতুন নকশা, ক্যামেরা, প্রসেসর ও ব্যাটারিতে বড়সড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
চারটি মডেল আসার সম্ভাবনা: এবার আইফোন ১৭ সিরিজে আসতে পারে চারটি সংস্করণ- যার মধ্যে থাকবে আইফোন ১৭ এয়ার, আইফোন ১৭, আইফোন ১৭ প্রো ও আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্স।
দাম কেমন হতে পারে?: আইফোন ১৭-এর প্রাথমিক মূল্য হতে পারে আনুমানিক ৯৪৫ মার্কিন ডলার বা প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার বাংলাদেশি টাকার সমান। তবে প্রো এবং প্রো ম্যাক্স মডেলের দাম হবে আরও বেশি। উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি ও চীনের শুল্কনীতির প্রভাবের কারণে দাম কিছুটা বাড়তে পারে বলে মনে করছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।
নতুন কাঠামো ও নকশা: প্রতিটি মডেলেই এবার ব্যবহার হতে পারে অ্যালুমিনিয়াম কাঠামো—যা ফোনকে করবে আরও হালকা, মজবুত ও নান্দনিক। আগে প্রো মডেলে ব্যবহৃত হতো স্টিল বা টাইটানিয়াম কাঠামো।
রঙ: রঙের দিক থেকেও থাকছে নতুন চমক— যুক্ত হচ্ছে ‘ডেজার্ট টাইটানিয়াম’ নামের একটি নতুন কালার অপশন। সঙ্গে থাকছে আগের মতো ব্ল্যাক, হোয়াইট এবং ডার্ক ব্লু।
ক্যামেরায় বড় পরিবর্তন: সামনের ক্যামেরা ১২ মেগাপিক্সেল থেকে বাড়িয়ে ২৪ মেগাপিক্সেল করা হতে পারে। প্রো মডেলের পেছনের ক্যামেরায় থাকতে পারে ৪৮ মেগাপিক্সেলের তিনটি লেন্স—প্রশস্ত, অতিপ্রশস্ত ও টেলিফটো। ফলে সেলফি ও অন্যান্য ছবি হবে আরও বিস্তারিত ও নিখুঁত।
ডিসপ্লে: আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্সে ৬.৯ ইঞ্চির ওএলইডি ডিসপ্লে, আইফোন ১৭ প্রো-তে ৬.৩ ইঞ্চির এবং আইফোন ১৭ এয়ারে ৬.৬ ইঞ্চির ডিসপ্লে থাকতে পারে।
স্টোরেজ ও ব্যাটারি: আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্সে যুক্ত হতে পারে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ৫৫০০ এমএএইচ ব্যাটারি। স্টোরেজ শুরু হবে ২৫৬ জিবি থেকে। স্ট্যান্ডার্ড মডেলগুলোতে ৮জিবি র্যাম, আর প্রো ও প্রো ম্যাক্স মডেলে ১২জিবি র্যাম থাকতে পারে।
শক্তিশালী যন্ত্রাংশ ও সফটওয়্যার: আইফোন ১৭ সিরিজে থাকছে নতুন এ১৯ বায়োনিক চিপসেট এবং আইওএস ১৯ অপারেটিং সিস্টেম, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ফিচার, উন্নত ব্যাটারি ব্যবস্থাপনা ও মসৃণ অভিজ্ঞতা দেবে।
উন্মোচনের তারিখ: প্রতিবছরের মতো এবারও সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে উন্মোচন হতে পারে নতুন আইফোন। সম্ভাব্য তারিখ ৮ বা ১০ সেপ্টেম্বর।
আইফোন ১৭ সিরিজ হতে যাচ্ছে অ্যাপলের এক যুগান্তকারী আপগ্রেড, যেখানে আধুনিক নকশা, অসাধারণ ক্যামেরা, শক্তিশালী প্রসেসর, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ফিচারের সমন্বয় ঘটবে।