রাজধানীর রাস্তায় ভ্যানের ওপর বসানো ছোট ছোট বাড়ি, তবে সেগুলো ইট-পাথরের নয়—সবই ছবি দিয়ে গড়া। আর এই ছবিগুলোতে ধরা পড়েছে সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানের মুহূর্ত। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে শুরু হয় ব্যতিক্রমী এই প্রদর্শনী ‘গণঅভ্যুত্থানে আলোকচিত্র’। এরপর ভ্যানগুলো ঘুরে বেড়ায় টিএসসি, শাহবাগ, ফার্মগেট, মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, রামপুরা, হাতিরঝিলসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন আলোকচিত্রী ও সাংবাদিক জীবন আহমেদ, সুমন কান্তি পাল, কে এম আসাদ, আলোকচিত্রী শিক্ষার্থী মো. শফিকুল ইসলাম এবং আলোকচিত্রী জান্নাতুল মাওয়া। এসময় বক্তব্য দেন আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম।
শহিদুল আলম বলেন, “এই সংকটকালে আলোকচিত্রী সাংবাদিকরা যে সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন, তা ইতিহাসের অংশ। অথচ তাদের অবদান প্রায়ই উপেক্ষিত হয়। স্বীকৃতি দেওয়াটা জরুরি।”
সঞ্চালক আলোকচিত্রী তাসলিমা আকতারের পরিচালনায় বক্তারা বলেন, এই ভ্যানগুলো এমন সব স্থানে পৌঁছেছে, যেখানে তরুণ শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের দাবি, আর ফ্যাসিবাদবিরোধী প্রতিরোধ—সব এক সূত্রে বাঁধা।
তাদের মতে, জুলাই-আগস্টের উত্তাল সময়ে প্রতিরোধ পেয়েছিল নতুন ভাষা—যা শুধু স্লোগানে নয়, বরং ছড়িয়ে গিয়েছিল ছবি, গ্রাফিতি, কার্টুন ও নানা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে। সেই ভাষা ও আবেগ ফিরিয়ে দিতেই ভ্যানভর্তি আলোকচিত্রের এই উদ্যোগ।
প্রদর্শনীতে আরও অংশ নেন আশরাফুল আলম, ইসতিয়াক করিম, দীপু মালাকার, নূর আলম, মইন বুলু, রায়হান আহমেদ, রাহাত করিম, শুভ্র কান্তি দাশ, সুলতান মাহমুদ মুকুট ও হাবিবুল হকসহ অনেক আলোকচিত্রী। আয়োজন করেছে পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউট।