
চিকুনগুনিয়া নিয়ে সুখবর দিল চীনা বিজ্ঞানীরা। তারা চিকুনগুনিয়া জ্বরের দ্রুত শনাক্তকরণের জন্য একটি নতুন কিট সলিউশন তৈরি করেছেন। দেশটির কুয়াংতোং প্রদেশের রাজধানী কুয়াংচৌভিত্তিক একটি গবেষণাগার জানিয়েছে এই কিটটি পুরো শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া মাত্র আধা ঘণ্টার মধ্যে সম্পন্ন করতে পারে, যা এই রোগের প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে এক বড় অগ্রগতি।
নতুন এই শনাক্তকরণ কিটটি র্যাপিড কিউপিআর প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এটি কুয়াংচৌ ল্যাবরেটরি, কুয়াতোং প্রাদেশিক রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র, কুয়াংচিৗ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির অধীনে কুয়াংচৌ এইটথ পিপলস হসপিটাল এবং অন্যান্য বায়োমেডিকেল কোম্পানির সহযোগিতায় তৈরি হয়েছে।
এই কিটটি একটি নিউক্লিক অ্যাসিড এক্সট্র্যাকশন কিটের সঙ্গে কাজ করে একটি সম্পূর্ণ অতি-দ্রুত চিকুনগুনিয়া পরীক্ষার পদ্ধতি তৈরি করে। এই নতুন পদ্ধতির মাধ্যমে সিরাম নমুনা থেকে নিউক্লিক অ্যাসিড আলাদা করতে মাত্র ১৫ মিনিট এবং অ্যামপ্লিফিকেশনে মাত্র ১২ মিনিট সময় লাগে। ফলে, সম্পূর্ণ পরীক্ষার প্রক্রিয়াটি মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে সম্পন্ন হয়, যা প্রচলিত পদ্ধতিতে ৩ থেকে ৫ ঘণ্টা সময় লাগার তুলনায় অনেক দ্রুত।
গবেষণাগারটি জানিয়েছে, কুয়াংতোং প্রদেশের কয়েকটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালে প্রায় ১,০০০ নমুনার ওপর এই কিটটি পরীক্ষা করা হয়েছে। তৃতীয় পক্ষের রিএজেন্টগুলোর সঙ্গে তুলনা করে এর চমৎকার কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে। এই সিস্টেমটি এখন ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত, যা প্রদেশের চিকুনগুনিয়া রোগ নিয়ন্ত্রণে শক্তিশালী সহায়তা প্রদান করবে।
ফসানের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ এখন উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে। টানা ছয় দিন ধরে দৈনিক নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ১৫০-এর নিচে রয়েছে। ৬ আগস্ট থেকে প্রতিদিন নতুন রোগীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে কমছে। গত বুধবার, শুধু ফসানে ৯৬টি নতুন কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। আক্রান্ত গ্রাম ও সম্প্রদায়ের সংখ্যাও কমেছে, যা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টার ইতিবাচক ফল।
কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, যদিও বর্তমান পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হচ্ছে, তবুও স্থানীয়দের এই রোগ সম্পর্কে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।