
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার নাম পরিবর্তন করে এখন থেকে শুধু ঢাকা বাণিজ্য মেলা নামে মেলা আয়োজন করবে সরকার। সোমবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
সোমবার (১৮ আগস্ট) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ১৪৮তম পরিচালনা পর্ষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) আবদুর রহিম খান, বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, মেট্রো চেম্বারের সভাপতি কামরান তানভীর রহমানসহ অনেকে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৯৯৫ সাল থেকে শুরু হওয়া ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্দেশ্য ছিল বিদেশি কোম্পানির সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে মানসম্মত পণ্য ও আধুনিক প্রযুক্তি প্রদর্শন করা। কিন্তু বাস্তবে বেশিরভাগ বিদেশি প্রতিষ্ঠান দূতাবাস বা সরকারি প্রতিনিধি দল নয়, বরং স্থানীয় এজেন্ট বা ব্যবসায়ীর মাধ্যমে অংশ নিচ্ছে। এতে পণ্যের মান যাচাই কঠিন হয়ে পড়ছে এবং অনেক ক্ষেত্রে নকল বা নিম্নমানের পণ্য বিদেশি ব্র্যান্ডের নামে উপস্থাপন করা হচ্ছে। এর ফলে ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছেন, আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে এবং বিদেশি ক্রেতাদের আকর্ষণও কমে যাচ্ছে।
সভায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের পূর্ণাঙ্গ মেলা ক্যালেন্ডার এবং ২০২৬-২৭ অর্থবছরের আংশিক ক্যালেন্ডার অনুমোদন দেওয়া হয়। পাশাপাশি রপ্তানিমুখী শিল্প ও উৎপাদকদের বৈশ্বিক বাজার সম্প্রসারণের জন্য একটি আলাদা আন্তর্জাতিক সোর্সিং ফেয়ার আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়। এ প্রেক্ষিতে নভেম্বর মাসে ‘সোর্সিং বাংলাদেশ ২০২৫’ মেলা আয়োজনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান সভায় বলেন, সোর্সিং মেলা না হলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশীয় পণ্যের পরিচিতি বাড়বে না। তিনি বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোর মাধ্যমে প্রচারণা জোরদারের ওপরও গুরুত্ব দেন।
সভায় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “প্রতিটি মেলার জন্য আমাদের কৌশলগত বিশ্লেষণ থাকতে হবে। শুধু অংশগ্রহণ নয়, দেশের ব্যবসা ও বাজার সম্প্রসারণ কতটা হচ্ছে, সেদিকেও মনোযোগ দিতে হবে।”
























