চলতি বছরের শুরু থেকে জুলাই পর্যন্ত ২৮ হাজারেরও বেশি অভিবাসীকে বহিষ্কার করেছে মালয়েশিয়া। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুতিন ইসমাইল এক লিখিত বিবৃতিতে জানান, ১৯৫৯/৬৩ সালের অভিবাসন আইনের অধীনে ১ জানুয়ারি থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত মোট ২৮৫২৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়।
এর মধ্যে ২১০৩৯ জন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ (৭৪ শতাংশ), ৬১৪৫ জন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা (২১ শতাংশ), ৭৭৮ জন ছেলে (৩ শতাংশ) এবং ৫৬৩ জন মেয়ে (২ শতাংশ)। বহিষ্কার হওয়াদের মধ্যে ইন্দোনেশীয়রা সবচেয়ে বেশি (১১,০৮৫), এরপর মিয়ানমারের নাগরিক (৪,৮৮৫) এবং ফিলিপিনো (৪,৪৬৫)।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়া ১৯৫১ সালের শরণার্থী কনভেনশন বা ১৯৬৭ সালের প্রোটোকলের স্বাক্ষরকারী না হলেও ফেরত পাঠানোর নীতি মেনে চলে। তবে নীতিগতভাবে, ইউএনএইচসিআর কার্ডধারীদের শুধুমাত্র তৃতীয় কোনো দেশে পুনর্বাসনের সুযোগ না থাকলে বহিষ্কার করা হয় না।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার তথ্য উদ্ধৃত করে তিনি আরও জানান, ২০২৪ সালে ৮,৬২৭ জন শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থীকে বিদেশে পুনর্বাসিত করা হয়েছিল। আর ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত পুনর্বাসিত হয়েছে ৯৪৭ জন, প্রধানত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে।