
দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলো পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক ফাইভ-জি। সোমবার দুপুরে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রবি প্রথম এই সেবার উদ্বোধন করে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে গ্রামীণফোনও ভিডিও বার্তায় ফাইভ-জি চালুর ঘোষণা দেয়।
রাজধানীতে রবির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সেবাটির আনু্ষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী প্রমুখ।
ঢাকার ফকিরাপুল, শাহবাগ, মগবাজার চৌরাস্তা, চট্টগ্রামের খুলশি ও সিলেটের সাগরদিঘী পাড় এলাকায় রবির ফাইভ-জি ইতোমধ্যেই চালু হয়েছে। এরিকসন ও হুয়াওয়ে নেটওয়ার্ক স্থাপনে সহযোগিতা করেছে।
রবির করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স চিফ সাহেদ আলম জানান, প্রাথমিকভাবে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের সাতটি স্থানে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক চালু করা হয়েছে। গ্রাহক অভিজ্ঞতা এবং ফাইভ-জি ডিভাইস ব্যবহারের ওপর ভিত্তি করেই এ সেবা ধীরে ধীরে বিস্তৃত হবে।
তিনি জানান, বর্তমানে রবির ৬০ শতাংশ গ্রাহকের হাতে ফোর-জি ফোন থাকলেও মাত্র ৬-৭ শতাংশ গ্রাহক ফাইভ-জি ফোন ব্যবহার করছেন। যেসব এলাকায় ফাইভ-জি ব্যবহারকারীর হার ১৫-২০ শতাংশে পৌঁছাবে, সেখানে এ সেবা চালু করা হবে। আগামী বছরের মধ্যে ৮০০ থেকে ১ হাজার ফাইভ-জি সাইট চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। তবে ফাইভ-জি ইন্টারনেটের দাম ফোর-জির মতোই রাখা হবে।
এদিকে, গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান ফেসবুকে ভিডিও বার্তায় বলেন, “আজ থেকে বাংলাদেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে গ্রামীণফোনের ফাইভ-জি সেবা চালু হলো।”