কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে ফিফা প্রীতি ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করেছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। পুরো ম্যাচে দুই দলের লড়াই হয়েছে সমানে সমান, লক্ষ্যে শটও ছিল সমান। তবে গোলের দেখা মেলেনি কারও।
স্টেডিয়ামের মাঠের অবস্থা নিয়ে আগেই সমালোচনা ছিল। রোদ-বৃষ্টির কারণে মাঠ ভারি হয়ে পড়ায় স্বাভাবিক ফুটবল খেলতে পারেননি দুই দলের খেলোয়াড়ই।
বাংলাদেশের নিয়মিত গোলরক্ষক মিতুল মারমা না থাকায় আজকের ম্যাচে অভিষেক হয় সুজন হোসেনের। তবে তাকে বড় কোনো পরীক্ষার মুখে পড়তে হয়নি।
খেলার ১০ মিনিটে অবশ্য কর্নার থেকে একটা গোল পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে বলটা যখন জালে জড়ালেন সুমন রেজা তখন অফসাইডের ফাঁদে পড়েন তিনি। পরে আর কোনো খেলোয়াড়ই বলকে জালে জড়াতে পারেননি।
২৯ মিনিটে লিড নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল নেপাল। তবে প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের হেড জোরালো না হওয়ায় বল জালে জড়ানোর আগে ঠেকিয়ে দেন অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা গোলরক্ষক সুজন হোসেন।
৩৮ মিনিটে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেওয়ার দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিলেন সুমন। রহমত মিয়ার থ্রো ঠেকাতে নেপালের গোলরক্ষক কিরণ কুমার লিম্বু বাইরে এসে পাঞ্চ করতে গিয়ে ঠিকমতো বলের নাগাল পান না। এতে বক্সের মধ্যে সুযোগ পান সুমন। কিন্তু বাঁ পায়ে ফাঁকা গোলবারে যে শটটি নিলেন তা বারের ওপর দিয়ে যায়।
প্রথমার্ধ গোলশূন্যে ড্রয়ে শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধেও কোনো গোল হয়নি। তবে ৭২ মিনিটে একটা সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে রাকিব হোসেন যে হেডটি নেন তা পোস্টের অনেক বাইরে দিয়ে যায়। ৭৬ মিনিটে গোলপোস্টে একটা জোরাল শট নিয়েছিলেন তাউ উদ্দিন। তবে নেপালের গোলরক্ষক কিরণের সোজাসুজি হওয়ায় লাফ দিয়ে সেভ করেন তিনি।
কোনো ফরোয়ার্ডই দুই দলের গোলরক্ষককে তেমন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড় করাতে পারেনি। যার ফল গোলশূন্যে ড্রয়ে মাঠ ছাড়ে দুই দল। দশরথ রঙ্গশালায় আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ফিরতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-নেপাল। সেদিন জয় নিয়ে দেশ ফিরতে পারেন কি না জামাল-তপু বর্মনরা সেটাই এখন দেখার বিষয়।