
হত্যাচেষ্টা মামলায় জামিন পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালালের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।
জালালের পক্ষে তার আইনজীবী রফিকুল ইসলাম হিমেল জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানিতে তিনি উল্লেখ করেন, জালাল আহমদ সম্পূর্ণ নির্দোষ। শুধু হয়রানি করার জন্য তাকে মামলায় জড়ানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সুর্নিদিষ্ট কোনও প্রমাণ নেই। কথিত ঘটনার সময় তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেবেন। যে কোনও শর্তে তার জামিনের প্রার্থনা করছি।
রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ৫ হাজার টাকার মুচলেকায় পরীক্ষার রুটিন বা এডমিট কার্ড দেখানো শর্তে জালাল আহমদের জামিনের আদেশ দেন।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত ২৬ আগস্ট রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে জালাল কক্ষে প্রবেশ করে উচ্চ শব্দে চেয়ার টানা-হেঁচড়া করতে থাকেন এবং লাইট জ্বালিয়ে রবিউলের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটান। রবিউল সকালে লাইব্রেরিতে যাওয়ার কথা বলে জালালকে আস্তে শব্দ করতে অনুরোধ করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে জালাল রবিউলকে প্রথমে কাঠের চেয়ার দিয়ে মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করেন। রবিউল হাত দিয়ে তা প্রতিহত করলেও কপালে জখম হয়। এরপর জালাল কক্ষের একটি পুরোনো টিউবলাইট দিয়ে পুনরায় রবিউলের মাথায় আঘাত করতে গেলে তা বুকের বাম পাশে লেগে ভেঙে যায়। পরে সেই ভাঙা টিউবলাইট দিয়ে জালাল আবারও আঘাত করতে গেলে রবিউল বাম হাত দিয়ে তা ঠেকানোর চেষ্টা করেন এবং জখম হন। পরে অন্য শিক্ষার্থীরা আহত রবিউলকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করে। রুমমেটকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় জালালকে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়। ওই রাতেই জালালকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ছুরিকাঘাতের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাজধানীর শাহবাগ থানায় হত্যাচেষ্টা মামলাটি দায়ের করা হয়। পরদিন তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।