রাতের খাবার কখন খাবেন—এটা নিয়ে আমাদের সবার মধ্যেই দ্বিধা থাকে। কেউ খায় দেরি করে, কেউ আবার খুব আগে। কিন্তু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘুমানোর সময়ের অন্তত ২ থেকে ৩ ঘণ্টা আগে খাবার শেষ করা শরীরের জন্য সবচেয়ে ভালো।
দেরি করে খাওয়ার ক্ষতি: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, দেরি করে খাওয়া শরীরে নানা ধরনের জটিলতা তৈরি করে। এর মধ্যে রয়েছে—
** স্থূলতা বা ওজন বৃদ্ধি
** রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়া
** ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হওয়া
যারা রাতের শিফটে কাজ করেন কিংবা নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর খাবার খান, তাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি আরও বেশি। কারণ খাওয়ার পরপরই ঘুমিয়ে পড়লে শরীরের খাবার হজম করার সুযোগ কমে যায়।
সব রাতের খাবার ক্ষতিকর নয়: তবে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, রাতে ১৫০–২০০ ক্যালোরির কম স্বাস্থ্যকর খাবার অনেকের জন্য ক্ষতিকর নয়। যেমন—
সক্রিয় ব্যক্তিদের জন্য: সামান্য প্রোটিন স্ন্যাকস (যেমন ডিম বা গ্রিক দই) পেশি শক্তিশালী করতে পারে, বিপাক উন্নত করে এবং বিশ্রামের সময়ও ক্যালোরি খরচ বাড়ায়।
বিশেষ স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে: টাইপ-১ ডায়াবেটিস বা গ্লাইকোজেন স্টোরেজ ডিজিজে আক্রান্তরা শোবার আগে কর্নস্টার্চ বা প্রোটিন শেক খেয়ে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন।
খাবারকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন: ওজন বেশি বা নিষ্ক্রিয় ব্যক্তিদের জন্য রাতের হালকা নাশতাও ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তবে নিয়মিত ব্যায়াম করলে এসব ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
করণীয়:
** রাতে ভারী খাবার থেকে বিরত থাকুন।
** হালকা, প্রোটিনসমৃদ্ধ ও পুষ্টিকর খাবার বেছে নিন।
** নিয়মিত সক্রিয় থাকুন।
** অতিরিক্ত ক্যালোরির দরকার না হলে শুধু পানি পান করে বিশ্রামে যান।
বলা যায়, সঠিক সময়ে খাওয়া শুধু ঘুম ভালো করে না, শরীরকেও রাখে ফিট।