রবিবার । ডিসেম্বর ৭, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক বিজনেস ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন
শেয়ার

১০ বছরের জন্য খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলের সুযোগ


Bangladesh Bank

বিশেষ বিবেচনায় আর্থিক সংকটে পড়া ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে পুনরায় সচল করতে নতুন একটি বিশেষ ঋণ পুনর্গঠন নীতিমালা চালু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই নীতির আওতায় সর্বোচ্চ দুই বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ সর্বোচ্চ ১০ বছরের জন্য খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলের সুযোগ পাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো। কোনো কারণে প্রয়োজন হলে ৩০০ কোটি টাকার বেশি ঋণে নীতি সহায়তার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাছাই কমিটিতে আবেদন করা যাবে।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জারি করা প্রজ্ঞাপনের নতুন নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংকগুলো এখন খেলাপি ঋণ ১০ বছরের জন্য পুনঃতফসিল করতে পারবে। গ্রাহককে মাত্র দুই শতাংশ ডাউন-পেমেন্ট জমা দিতে হবে এবং দুই বছরের গ্রেস পিরিয়ডের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট খাতের সর্বনিম্ন সুদের চেয়েও এক শতাংশ কম হারে ঋণ প্রদান করা যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, ৩০০ কোটি টাকার বেশি ঋণের ক্ষেত্রে নীতি সহায়তার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাছাই কমিটিতে আবেদন করা যাবে। এছাড়া চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বিরূপ মানে শ্রেণিকৃত ঋণগুলোও পুনঃতফসিলের সুযোগ পাবে, তবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে। ব্যাংক আবেদন প্রাপ্তির ৬ মাসের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, অতীতে তিন বা তার বেশি পুনঃতফসিল করা ঋণে অতিরিক্ত ১ শতাংশ ডাউন-পেমেন্ট আদায় করতে হবে। নীতি সহায়তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে না, তবে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন প্রয়োজন। একাধিক ব্যাংকের ঋণের ক্ষেত্রে নীতি সহায়তা নেওয়া হলে সর্বোচ্চ ঋণ প্রদানকারী ব্যাংক বা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর সম্মতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।

নতুন নিয়মে সুবিধা পাওয়া ঋণের ক্ষেত্রে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে সাধারণ প্রভিশন রাখা বাধ্যতামূলক। তবে জালিয়াতি বা প্রতারণার মাধ্যমে সৃষ্ট ঋণে এই সুবিধা প্রযোজ্য হবে না। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতা ব্যাংক ও গ্রাহকের যৌথ পর্যালোচনার মাধ্যমে পুনঃতফসিল, পুনর্গঠন বা এককালীন এক্সিট সুবিধা পাবে। সুবিধা প্রদানের ৯০ দিনের মধ্যে চলমান মামলার স্থগিত ব্যবস্থা নিতে হবে। কোনও শর্ত ভঙ্গ হলে ব্যাংক সুবিধা বাতিল করে ঋণ আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এ নির্দেশনা ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণ ও পুনর্গঠন প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ ও কার্যকর করার জন্য নেওয়া হয়েছে।