রবিবার । ডিসেম্বর ৭, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক জাতীয় ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩:০৭ অপরাহ্ন
শেয়ার

জানুয়ারি মাসেই শিক্ষার্থীরা নতুন বই হাতে পাবে: অর্থ উপদেষ্টা


আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না ঋণখেলাপিরা: অর্থ উপদেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন ঋণখেলাপিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। বধবার (১৩ আগস্ট) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের আয়োজনে ইপি পেনশন উদ্বোধন উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ইসির উচিত ঋণখেলাপিদের শনাক্ত করা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে কোর্টের স্টে অর্ডার নিয়ে। মহিউদ্দিন খান আলমগীর তো এই খেলাপি ঋণ নিয়ে পাঁচ বছর কাটিয়েই দিয়েছিলেন। আগামী নির্বাচনে কালোটাকা রোধে সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কালোটাকার ক্ষেত্রে দুটি বিষয় হচ্ছে উৎস আর প্রসেস। উৎসটা কিন্তু আগের চেয়ে মোটামুটি বন্ধ হয়েছে। আগে তো ব্যাংকের মালিক, শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিক, নিউজ পেপারের মালিক, ফ্লাটের মালিক সব একজনই ছিলেন। কিন্তু এখন তো এটা হচ্ছে না। মোটামুটি এখন একটু চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স হচ্ছে। ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা সবসময় বলি অর্থনৈতিক উন্নয়ন নির্ভর করে রাজনৈতিক সংস্কৃতির ওপর। রাজনীতিবিদরা যদি উৎসাহ দেন যে টাকা-পয়সা দিয়ে নমিশনেশন দেবেন, ভোট দেবেন, তাহলে আমি অর্থ মন্ত্রণালয়ে থেকে তো কিছুই করতে পারব না।

অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, চলতি বছর শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে কিছুটা দেরি হলেও আগামী শিক্ষাবর্ষের জানুয়ারি মাসেই শিক্ষার্থীরা নতুন বই হাতে পাবে।

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এই তথ্য জানান।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, গত বছর বই ছাপানোর কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল নভেম্বর মাসে। এবার যেন জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীরা নতুন বই পায়, সে জন্য সেপ্টেম্বর মাসেই কার্যাদেশ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে কিছু কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে এবং যাচাই-বাছাই করে বাকিগুলোও সেপ্টেম্বরের মধ্যেই দেওয়া হবে। সম্ভবত আগামী সপ্তাহেও এ বিষয়ে বৈঠক হবে।

বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের হাতে ১ জানুয়ারি নতুন বই তুলে দেওয়ার কথা। তবে এসব বিষয় আরও ভালোভাবে যাচাই করার জন্য বলা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এর আগে যারা কাজ পেয়েছিল, তাদের ছাপানো বইয়ের মান কেমন ছিল, কাগজের মান কেমন ছিল; এবং কারা একাধিক কাজ পাচ্ছে, একচেটিয়া হচ্ছে কি না—এসব খতিয়ে দেখতে আরও যাচাই-বাছাই করা হবে। আজ বই কেনার যে প্রস্তাব ছিল, তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অনিয়মের সংবাদ মাঝেমধ্যেই পাওয়া যায়। যেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উঠেছে, তাদের চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে।

২০২৪ সালে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই পৌঁছে দিতে তিন মাস দেরি হয়েছিল—এ প্রসঙ্গ সাংবাদিকেরা তুললে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এবার জানুয়ারি মাসেই বই দেওয়া হবে। অনিয়মের তালিকায় কতগুলো প্রতিষ্ঠান রয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।

কোন প্রতিষ্ঠানকে বই ছাপানোর কাজ দেওয়া হবে এবং কবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে—এই প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এ মাসের মধ্যেই সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে। সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে যাচাই-বাছাইয়ের চেষ্টা করা হচ্ছে।