বলিউডের শীর্ষ নায়িকা দীপিকা পাড়ুকোন বহুদিন ধরেই চলচ্চিত্র শিল্পে স্বাস্থ্যসম্মত ও ভারসাম্যপূর্ণ কর্মসংস্কৃতি গড়ে তোলার দাবি জানিয়ে আসছেন। বিশেষ করে শুটিং সেটে ক্রুদের জন্য ন্যায্য কর্মঘণ্টা, বিশ্রামের সুযোগ এবং মানসিক স্বাস্থ্যের সহায়তা নিশ্চিত করার বিষয়ে তিনি সরব ছিলেন। তাঁর এসব অবস্থানই শেষ পর্যন্ত ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’ থেকে সরে দাঁড়ানোর পেছনে ভূমিকা রেখেছে বলে জানা গেছে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, দীর্ঘ আলোচনার পর প্রযোজক প্রতিষ্ঠান আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছে- দীপিকা আর থাকছেন না ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’র সিক্যুয়েলে। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, “বহু বিবেচনার পর আমরা দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে এই প্রজেক্টে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রথম ছবির যাত্রা দীর্ঘ হলেও আমরা কাঙ্ক্ষিত অংশীদারিত্ব খুঁজে পাইনি। এই ধরনের প্রজেক্টের জন্য আরও বড় ধরনের প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন। তাঁর ভবিষ্যৎ কাজের জন্য শুভকামনা।”
কর্মঘণ্টা নিয়ে দীপিকার অবস্থান: আগে এক সাক্ষাৎকারে আনুপমা চোপড়াকে দীপিকা বলেছিলেন, “সবচেয়ে আগে কর্মঘণ্টা সীমিত করতে হবে, বিশেষ করে ক্রুদের জন্য। অনেকের ধারণা টানা কাজ করালে কাজ দ্রুত শেষ হয়। কিন্তু আমার মতে উল্টোটা- বিশ্রাম নিলে মানুষ বেশি উদ্যম নিয়ে কাজে ফিরতে পারে, যা মান উন্নয়নেও সাহায্য করে।”
তিনি আরও বলেন, “অভিনেতা-পরিচালকরা পুরস্কার ও স্বীকৃতি পান, কিন্তু যারা সকাল থেকে রাত অবধি অক্লান্ত পরিশ্রম করেন সেই ক্রুরাও ন্যায্য পাওয়ার যোগ্য। ওভারটাইম হলে ঘন্টা হিসেবে তাঁদের পারিশ্রমিক দেওয়া উচিত।”
আর্থিক দাবি ও প্রস্থান: শিল্পের ভেতরের সূত্র বলছে, দীপিকা শুধু কর্মঘণ্টা কমানো নয়, বরং ২৫ শতাংশ পারিশ্রমিক বৃদ্ধিরও দাবি জানিয়েছিলেন। তবে প্রযোজকরা সেই শর্ত মেনে নিতে পারেননি। এর ফলে এটি পরপর দ্বিতীয়বার হলো, যখন প্রভাস অভিনীত কোনো বড় প্রজেক্ট থেকে সরে দাঁড়ালেন দীপিকা। এর আগে তিনি ‘স্পিরিট’ থেকেও একইভাবে বিদায় নেন।