
বিক্ষোভকারীরা পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
জম্মু-কাশ্মীর থেকে আলাদা করে লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার পর থেকেই সেখানে ক্ষোভ দানা বাঁধছিল। এবার সেই ক্ষোভ রাস্তায় গড়িয়েছে। স্থানীয়রা রাজ্যের মর্যাদা ও সাংবিধানিক সুরক্ষার দাবিতে আন্দোলন করছেন।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) লাদাখের লে শহরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে তিন থেকে পাঁচজন নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
লাদাখের পরিবেশ আন্দোলনকারী ও শিক্ষাবিদ সোনম ওয়াংচুক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘পুলিশের গুলিতে তিন থেকে পাঁচজন তরুণ মারা গেছেন। অনেক মানুষ আহত হওয়ার খবরও আমরা পেয়েছি, তবে সঠিক সংখ্যা এখনো জানা যায়নি।’
আজ লে শহরে সম্পূর্ণ হরতালের ডাক দেওয়া হয়েছিল। এ সময় বিক্ষোভকারীরা বিজেপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। তারা পাথর নিক্ষেপ করেন ও একটি পুলিশ ভ্যানেও অগ্নিসংযোগ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে ও লাঠিচার্জ করে।
গত তিন বছর ধরে লাদাখের মানুষ কেন্দ্রের শাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। তাঁদের প্রধান দাবি—লাদাখকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া এবং সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করা। এতে ভূমি, সংস্কৃতি ও পরিচয় সুরক্ষিত থাকবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। আন্দোলনের অন্যতম মুখ বিশিষ্ট পরিবেশকর্মী সোনম ওয়াংচুক এ দাবিতে টানা অনশনে আছেন।
এর আগে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠিত হয়েছিল। তবে কোনো সমাধান আসেনি। গত মার্চে আন্দোলনকারীরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠক করলেও আলোচনা অগ্রগতি ছাড়াই শেষ হয়। আন্দোলনকারীদের দাবি অনুযায়ী, বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যের মর্যাদা ও ষষ্ঠ তফসিল সংক্রান্ত প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
আগামী ৬ অক্টোবর কেন্দ্র আবার লাদাখের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে। এখন সবার নজর সেদিকেই।
সূত্র: এনডিটিভি