
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে দীর্ঘদিনের জটিলতা নিরসনের পথে। ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে ভিন্ন শিক্ষাগত যোগ্যতার কারণে প্রায় পাঁচ হাজার নিবন্ধনধারী সুপারিশ থেকে বঞ্চিত হলেও এবার তাদের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। তিন অধিদপ্তরের ৪০টি পদের জন্য নিয়োগের শিক্ষাগত যোগ্যতা এক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনটিআরসিএ।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মধ্যে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব রেহেনা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান, তিন অধিদপ্তরের পরিচালক এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, “শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা নিয়ে বহুদিন ধরে জটিলতা ছিল। সভায় আলোচনা শেষে শিক্ষাগত যোগ্যতা সমন্বয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা সমন্বয় করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।”
জানা গেছে, ৪০টি বিষয়ে তিন অধিদপ্তরের যোগ্যতা ভিন্ন থাকায় অনেক প্রার্থী সুপারিশ থেকে বাদ পড়েছিলেন। নিবন্ধনধারীরা বারবার এই বৈষম্য দূর করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এর প্রেক্ষিতে এনটিআরসিএ পরীক্ষা পদ্ধতি ও বিধিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। খসড়া প্রস্তুতের পর বোর্ড সভায় তা অনুমোদন দেওয়া হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে রোববার অনুষ্ঠিত দুটি পৃথক সভায় বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। সভায় উপস্থিত একজন উপসচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ পর্যায়ে শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হচ্ছে। তিনটি অধিদপ্তরের ভিন্ন যোগ্যতা একীভূত করা হবে।”
শিক্ষক নিয়োগে এই সমন্বয় কার্যকর হলে বহুদিনের অপেক্ষা শেষে প্রায় পাঁচ হাজার নিবন্ধনধারী প্রার্থী সুপারিশ পাওয়ার সুযোগ পাবেন।