
আটক কর্মীদের ছবি প্রকাশ করেছে ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে যাত্রা করা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা আটকে দিয়েছে ইসরাইলি নৌবাহিনী। এ সময় সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ বহু আন্তর্জাতিক অধিকারকর্মীকে আটক করে তাদের ইসরাইলের আসদোদ বন্দরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, আটক কর্মীদের ছবি ইতোমধ্যেই প্রকাশ করেছে ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। স্থানীয় সময় দুপুর নাগাদ প্রথম দফার কর্মীদের বন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। ইসরাইল জানিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ‘ডিপোর্টেশন প্রক্রিয়া’ শুরু করা হবে এবং ইউরোপে ফেরত পাঠানো হবে। তবে এ প্রক্রিয়া শেষ হতে পুরো দিন লেগে যেতে পারে।
ফ্লোটিলায় থাকা কয়েকটি জাহাজের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। যাত্রীরা জানিয়েছেন, ইসরাইলি জাহাজের কাছাকাছি পৌঁছালে ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ হঠাৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অনেকে আবার ইচ্ছাকৃতভাবে মোবাইল ফেলে দিচ্ছেন, যাতে আটক বা হয়রানির ঝুঁকি কমে।
এর মধ্যেই ‘মিকেনো’ নামের একটি জাহাজ গাজার আঞ্চলিক জলসীমায় প্রবেশ করেছে বলে ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার জানিয়েছে। তবে সেটিও ইসরাইলি বাহিনী আটক করেছে কিনা তা স্পষ্ট নয়। এছাড়া আরও অন্তত ২৩টি জাহাজ গাজার উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে জানা গেছে।
৪৫টিরও বেশি বেসামরিক জাহাজ নিয়ে গঠিত এই বহরে প্রায় ৫০০ মানুষ রয়েছেন। তারা ৪৪টি দেশের প্রতিনিধি—যাদের মধ্যে আছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য, আইনজীবী, চিকিৎসক, সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী। প্রথম বহরটি গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করে। পরে ইতালি, তিউনিসিয়া ও গ্রিস থেকেও জাহাজ যুক্ত হয়।
ইসরাইল শুরু থেকেই দাবি করে আসছে, এই নৌবহরের ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের সঙ্গে যোগাযোগ আছে। তবে এখন পর্যন্ত তাদের দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেনি।