
গাজা অভিমুখী মানবিক সহায়তা বহনকারী ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র নৌবহরের ওপর ইসরায়েলি সৈন্যদের হামলার প্রতিবাদ এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর সাইন্স ল্যাব থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি শাহবাগে এসে শেষ হয়। শিবিরের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ বলেন, “ফিলিস্তিনে চলছে ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞ। নারী-শিশু নির্বিশেষে সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। খাদ্য, চিকিৎসা ও মৌলিক মানবাধিকার থেকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে। এটি এক ভয়াবহ গণহত্যা।”
তিনি আরও বলেন, “জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিশ্বনেতারা কার্যকর ভূমিকা না নিয়ে বরং ব্যর্থতা দেখাচ্ছেন। যারা মানবিক সহায়তা নিয়ে গিয়েছেন, তাদেরকেও প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের মনোবল ভাঙা যাবে না। তাদের শক্তি ইমান থেকে আসে, আর এখন বিশ্বজুড়ে মানুষ এই আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছে।”
ডাকসুর জিএস ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সভাপতি এসএম ফরহাদ বলেন, “৭ অক্টোবরের ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রকাশিত হিসাব অনুযায়ী ৬৬ হাজার ৬৫ জন ফিলিস্তিনি শহিদ হয়েছেন। এর মধ্যে ২০ হাজারের বেশি শিশু। সাংবাদিক হিসেবেও জীবন দিয়েছে ৩৬৫ জন। এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা যারা সহায়তা নিয়ে গেছেন, তাদের প্রতি আমাদের সমর্থন ও শ্রদ্ধা রইল।”
তিনি বলেন, কেবল ত্রাণসামগ্রী পাঠানো বা কিছু সাংস্কৃতিক কর্মীর সফর দিয়ে ফিলিস্তিনের স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। “গাজার মানুষ এক ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে, ইতিহাসে এমন অবস্থার নজির নেই। বাংলাদেশ সরকারকে আমরা আহ্বান জানাই- ঢাকাকে বৈশ্বিক সংহতির কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।”
এসএম ফরহাদ অভিযোগ করেন, সম্প্রতি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন শতাধিক ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীকে ভর্তিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “ইসরায়েলের আগ্রাসন কেবল গাজার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, আশপাশের দেশগুলোতেও তা ছড়িয়ে পড়েছে। তাই এটি একটি গ্লোবাল ইস্যু।”