
গাজার অবরোধ ভাঙতে যাত্রা করেছে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের (এফএফসি) জাহাজ কনশানস। সেই জাহাজে আছেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলোচিত্রী ও লেখক ড. শহিদুল আলম। তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে (৭ অক্টোবর) তারা ‘রেড জোন’ থেকে প্রায় ৭০ নটিক্যাল মাইল দূরে আছেন—যেখানে এর আগেও ইসরায়েলি নৌবাহিনী অবৈধভাবে বিভিন্ন ফ্লোটিলা আটক করেছে। আগামীকাল বুধবার ভোর নাগাদ তাদের জাহাজ ‘রেড জোন’-এ পৌঁছে যাবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এক পোস্টে শহিদুল আলম লেখেন, বর্তমানে আমরা আছি এফএফসি’র কনশানস জাহাজে। এই জাহাজে রয়েছেন মূলত সাংবাদিক ও চিকিৎসাকর্মীরা—যে দুটি পেশাজীবী গোষ্ঠীকে ইসরায়েলি হামলায় লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে। সাংবাদিক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের এমন হত্যাযজ্ঞ ইতিহাসে নজিরবিহীন। কনশিয়েন্স-এর যাত্রা মূলত এই হত্যাকাণ্ডের অবৈধতা ও গাজার অবরোধের বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদ।
তিনি আরও লেখেন, আমাদের যাত্রা কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে, কারণ আমরা ফ্লোটিলার অংশ থাউজ্যান্ড ম্যাডলিনস–এর ছোট ও ধীরগতি নৌযানগুলোকে সাথে নিয়ে আগাচ্ছি। যদিও আমরা আগের সুমুদ ফ্লোটিলা-র তুলনায় অনেক দ্রুত অগ্রসর হচ্ছি, যারা প্রবল ঝড় ও উচ্চ গতির বাতাসের বাধার মুখে পড়েছিল।
উল্লেখ্য, দুই বছর আগে এই দিনে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, ইসরায়েলের কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির দাবিতে হামাস ও অন্যান্য ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসরায়েলের ওপর আকস্মিক হামলা চালায়। ওই হামলায় ১ হাজার ১৯৫ জন ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিক নিহত হন, যাদের মধ্যে ৮১৫ জন ছিলেন বেসামরিক। এছাড়া ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়।
এরপর ইসরায়েলের পাল্টা অভিযানে গাজায় এখন পর্যন্ত ৬৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের প্রায় অর্ধেক নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও এক লাখ ৬৯ হাজারের বেশি মানুষ। চিকিৎসা বিষয়ক খ্যাতনামা জার্নাল দ্য ল্যানসেট-এর এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত গাজায় আঘাতজনিত মৃত্যুর সংখ্যা কম দেখানো হয়েছে, এবং পরোক্ষ মৃত্যুসহ প্রকৃত নিহতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে।




























