
ডা. শেখ বাহারুল আলম বাহারের (বৃত্তে) বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার দুই মেয়ে শেখ তামান্না আলম ও ডা. তাসনুভা আলম।
আওয়ামীপন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)-এর নেতা ডা. শেখ বাহারুল আলম খুলনায় ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ গঠন করছেন—এমন অভিযোগ তুলেছেন তার দুই মেয়ে শেখ তামান্না আলম ও ডা. তাসনুভা আলম।
বুধবার (৮ অক্টোবর) খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, ডা. বাহার খুলনা বিএমএ অফিস ও নিজ বাড়িতে বসে স্থানীয় আওয়ামী লীগ পুনর্গঠনের কাজ করছেন। তাদের দাবি, আলোচিত শেখ পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায় তিনি এই উদ্যোগ নিচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে দুই বোন বাবার বিরুদ্ধে আরও গুরুতর অভিযোগ তোলেন। তারা জানান, ৩৬ বছর আগে মাকে হত্যা করে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেওয়া, পরকীয়া, আর্থিক অনিয়ম ও পারিবারিক সম্পত্তি আত্মসাতসহ নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ডা. বাহার। এসব ঘটনার কারণে তারা ১২টি মামলা করেছেন এবং নিজেদের নিরাপত্তার জন্য থানায় জিডি দিয়েছেন।
তামান্না আলম অভিযোগ করেন, তাদের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান এপিসি ফার্মাসিউটিক্যালসের এক নারী কর্মচারী হেনা রানী ভৌমিকের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে ডা. বাহারের। ওই নারীর স্বামী চিত্ত রঞ্জন সেনকেও এতে সহযোগিতার অভিযোগ তোলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ডা. বাহার তার প্রভাব ব্যবহার করে নিয়োগ ও বদলির বাণিজ্যে জড়িত ছিলেন। বর্তমানে হেনা রানী বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন, আর ৫০ বছরের পুরনো এপিসি ফার্মা এখন বন্ধের পথে।
অন্যদিকে, ডা. বাহার মেয়েদের সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, কেউ তাদের প্ররোচিত করছে। না হলে ৩৬ বছর পর এমন অভিযোগের মানে হয় না। তিনি দাবি করেন, সম্প্রতি তামান্নাকে ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে, সেটি মেনে নিতে না পেরেই তিনি এসব অভিযোগ করছেন।
রাজনৈতিক অভিযোগ প্রসঙ্গে ডা. বাহার জানান, তিনি এখন আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত নন। শেখ হাসিনার সমালোচনা করায় তাকে দল ও স্বাচিপ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল বলে জানান তিনি।