
ফাইল ছবি
শুল্ক ফাঁকি, দুর্নীতি ও জালিয়াতি রোধে নতুন উদ্যোগ নিচ্ছে মালয়েশিয়া সরকার। দেশটির প্রবেশপথগুলোতে, বিশেষ করে কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (কেএলআইএ), চালু হতে যাচ্ছে ‘ফরেন ডিজিটাল আইডেন্টিটি’ (এফডিআই) ব্যবস্থা।
বুধবার (৮ অক্টোবর) পার্লামেন্টে প্রশ্নোত্তর পর্বে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল এ উদ্যোগের কথা জানান।
সম্প্রতি মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশন (এমএসিসি) সীমান্ত সংস্থার ১৮ কর্মকর্তাকে জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এই প্রযুক্তিনির্ভর পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন।
সাইফুদ্দিন নাসুশনের মতে, এফডিআই চালু হলে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে ইচ্ছুক প্রত্যেক বিদেশি নাগরিকের জন্য একটি ডিজিটাল আইডি তৈরি করা হবে, যা কেন্দ্রীয় বায়োমেট্রিক সিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। এতে আঙুলের ছাপ, চোখের স্ক্যান ও মুখের ছাপ—এই তিনটি শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে ব্যক্তির পরিচয় যাচাই করা হবে।
তিনি বলেন, এই তিনটি বায়োমেট্রিক শনাক্তকারীর সমন্বয়ে তৈরি ডিজিটাল রেকর্ড জাল করা বা বিকৃত করা কার্যত অসম্ভব হবে।
মন্ত্রী আরও জানান, দুর্নীতি দমনে সরকার শুধু এফডিআই নয়, বরং একাধিক প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে রয়েছে—
অগ্রিম যাত্রী স্ক্রিনিং সিস্টেম, যা যাত্রীদের দেশে পৌঁছানোর আগেই তাদের তথ্য যাচাই করবে।
ঝুঁকি মূল্যায়ন ইঞ্জিন, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিং দ্বারা পরিচালিত হবে।
অটোগেট সুবিধা সম্প্রসারণ, বর্তমানে ৬৩টি দেশের নাগরিকরা যেটি ব্যবহার করতে পারেন।
এছাড়া যেসব ম্যানুয়াল কাউন্টার চালু থাকবে, সেখানে কর্মকর্তাদের বডি-ওয়র্ন ক্যামেরা পরিধান বাধ্যতামূলক করা হবে এবং এআই-চালিত স্মার্ট সিসিটিভি দিয়ে কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, এই প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থার ফলে দুর্নীতি, অনৈতিক লেনদেন ও জালিয়াতির প্রচেষ্টা আগেভাগে সনাক্ত করা সম্ভব হবে। এতে কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা বাড়বে এবং দেশের নিরাপত্তা আরও জোরদার হবে।
সরকারের প্রত্যাশা, আধুনিক প্রযুক্তি ও সততার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের প্রবেশদ্বারগুলোকে আরও সুরক্ষিত এবং দুর্নীতিমুক্ত রাখা সম্ভব হবে।




























